Header Ads

Header ADS

জ্ঞান অর্জন ফরজঃ কিন্তু কোন জ্ঞান? তা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে হবে বা ফরজ?

بسم الله الرحمن الرحيم

السلام عليم ورحمةالله وبركاته


জ্ঞান অর্জন ফরজঃ  

কিন্তু কোন জ্ঞান? তা কতটুকু অর্জন করতে হবে বা ফরজ?

الحمد الله والصلواة والسلام على رسوال الله واله وأصحابه ومن وال- امابعد

আমাদের জানা একান্ত প্রয়োজন যে,জ্ঞান অর্জন ফরজ। আমরা সকলে জানি, ইসলামে জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ দিয়েছে। জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বহু আয়াত নাযিল করেছেন এবং নবী মুহাম্মদ সঃ এর বহু হাদীস রয়েছে।

জ্ঞান অর্জনের সূচনা কোথা থেকে?

স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জ্ঞান দানের সূচনা করেন আদম আঃ মাধ্যমে। আদম আঃ আল্লাহ থেকে তা শিখেন, যা আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন। তখনি জ্ঞান অর্জনের সূচনা হয়। এসম্পর্কে আল্লাহ ইশরাদ করেন সূরাতুল বাকারা আয়াত নং-৩১


وعلم ادم الاسماءكلها ثم عرضهم ......


আর যখন আমি শিক্ষা দিলাম সমস্ত কিছুর নাম সমূহ। (বাকারা-৩২)


আর এই জ্ঞানের করনে কিন্তু বণী আদম ফিরিস্তাদের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব পান।

জ্ঞান অর্জন একটি ফরজ ইবাদত।

প্রিয় নবী মুহাম্মদ সঃ এর একটি প্রসিদ্ধ হাদীস আছে, যা আমরা সকলে জানি-


طلب العلم فريضة على كل مسلم



তিনি বলেন- "দ্বীনী ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নরা-নারীর উপর ফরজ।"


আমরা এই হাদীস টা প্রায় জ্বাল করে থাকি, তা না জানার কারণে। আমরা অনুবাদ করে থাকি "বিদ্যা বা জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।" আমরা এই অনুবাদ কেনই বা করবোনা? আমরা স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে এমনটি-ই পড়ে থাকি। তাই তো আমরা মনে করি- বিদ্যা অর্জন ফরজ, সূতরাং যেকোন বিদ্যা হলেই চলবে। ফরজ আদায় হয়ে যাবে। ফলে আমাদের দ্বীন ইসলাম জানার এবং শিখার কোন প্রয়োজন আমরা বোধ করিনা। যা বোধকরি তা হল, কুরআন  শিখা বা কুুরআন পড়তে পালেই হল, বুঝতে পারুক বা নাবুঝতে পারুক। ফরজ আদায় হয়েগেছে মনে করি। অথচ আল্লাহর সম্পর্কে জানা ফরজ। শিরিক-বিদায়াত সম্পর্কে জানা, হারাম-হলাল, তাওহীদ শিখা, এসব ফরজ সম্পর্কে আমরা চীর উধাসীন। এসব না জানলে যে, আল্লাহর কাছে ধরা পড়তেই হবে তা আমরা মোটেও জানিনা।
অথচ কুরআনুল কারীমে বলা আছে,

افلا تعقلون


তবে কি তোমরা কুরান বুঝনা। (বাকারা-৬২)


অথচ, উপরে উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে, দ্বীনী জ্ঞান ফরজ। আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন দ্বীন কথাটি কোথায়?


এমন প্রশ্নটাই সাভাবিক। আসলে আমাদের সকলেরই জানা কর্তা ছাড়া কোন কর্ম হয় না।


তাহলে এখনে তলাবা কর্ম। তার কর্তা কোথাই? কর্তা হল হুয়া বা আদ্বীন শব্দটি লুকায়িত আছে।


এবার আসুন আমরা প্রাই বলে থাকি কুরানের প্রথম নাযিলকৃত শব্দ হল,  اقرا পড়, সূতরাং যাই ইচ্ছে পড়। এমনটি অর্থ করলে কিন্তু হবে না। বরং আপনি পুরা আয়াত টি পড়ুন। সেখানেই তার জবাব দেওয়া আছে। আল্লাহ বলেদিয়ছেন কি পড়তে হবে। মহান আল্লাহ বলেন - اقراءباسم ربك الذى خلق পড় তোমার পভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন জমাট বাঁধা রক্ত হতে। অত্র আয়াতে আমাদের কে বলে প্রভূর নামে পড়তে। অর্থাৎ প্রভূ যা নাযিল করেছন তা পরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূতরাং আমরা এখান থেকে জানতে পরি কোন জ্ঞান অর্জন ফরজ।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে হবে? 
এক কাথাই, যে টুকু জ্ঞান অর্জন করলে একজন মানুষ তার দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং তা মানা যায়, ততটু জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। আসুন আমি তার যত সামান্য আপনাদের সাম্নে তুলে ধরতে চাই তা ও কুরান সুন্নার আলোকে।


بِسْمِ
اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ - 
وَالْعَصْرِ- إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ- إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا-الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ


অর্থঃ
আল্লাহ বলছেন মহাকালের শপথ। নিশ্চয় ( সমস্ত ) মানুষ ক্ষতির ( ধ্বংশে নিমর্জিত ) মধ্যে আছে। তবে যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে। আর মানুষকে হক্কের দিকে আহ্বান করেছে, আর বিপদে ধর্যধারণ করেছে। তারা ছাড়া।( সূরাতুল আসরঃ ১-৩)


মহান আল্লাহ সুবহানু ওতায়ালা বলেনঃ “মহাকালের শপথ।” অথচ তাঁর জন্য শপখ করার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি এমনি বললে হয়ে যেতো। কারন আমরা জানি, কোন উর্ধতন সৎ ন্যায় পরায়ন ব্যাক্তির কোন বক্তব্য বা বিবৃতি শ্রোতাকে বিশ্বাস করানোর তাঁকে কোন প্রকার শপথের প্রয়োজন হয়না । তিনি সাধারণ ভাবে বিবৃতি প্রদান করলে যথেষ্ঠ, তা শ্রোতার কাছে গ্রহণযোগ্য পাই। অথচ আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালা রাজাধীরাজ তার কথাতো আরো বেশী প্রনিধান যোগ্য। তিনি কারো মুখাপেক্ষি নয়। তিনি কারও নিকট তার কর্মের জন্য দায়বদ্ধওনন। তিনি যদি কোন কাজের ঘোষনাদেন তাহলে তা যেকেও, মানুক না মানুক, তিনি তা নিরংকুশ তা বাস্তবায়িত করতে পারেন।সে জন্য তাঁর কাছে কেউ কৈপিয়ত চাইবার অধিকার রাখেনা। তার পর ও তিনি শপথ করলেন। তা হলে প্রশ্ন হল শপথ কেন করলেন?


শপথ করার কারণ সমূহঃ


শপথ করার কারণ হল, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলতে চাচ্ছেন, হে মানুষ আমি তোমাদের কে এমন কিছু কথা বলতে যাচ্ছি তা হল, এমন সত্য কথা, যা অস্বীকার কোন সুযোগ নেই। আমি যে কথা বলতে চাচ্ছি, চীরন্ত সত্য কথা। সন্দেহ বা সংশয়ের কোন সুযোগ নেই। সূতরাং তোমরা আমার কথার প্রতি মনোযোগী হও বা মনোযোগ দিয়ে শুন। অর্থাৎ সন্দহ সংশয় দূরীভূত করার জন্য শপথ করলেন। আর ২য়টা হল মনোযোগ আকর্ষণ করা।


মহাকালের শপথ বলতে মহান আল্লাহ কি বুঝিয়েছেনঃ 


মহান আল্লাহ বলেন- “মহাকালের শপথ।” তো এখানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন “মহাকাল” বলতেকি বুঝিয়েছেন? মহাকাল হল, মহাবিশ্বের আবর্তন-বিবর্তন কে বুজিয়েছেন। আমরা যদি একটু খিয়াল করি, তবে দেখব এই মহাবিশ্ব নির্দিষ্ট্য একটা কক্ষপথে ঘুর্ণমান। এই ঘূর্ণমান বিশ্বের আবর্তন - বিবর্তন কতইনা সুক্ষ, ও নিপুনতার প্রতিক। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এখানে সেই নিপনতার কসম খেলেন।


তাফসীরে আহসানুল বয়ানে বলা হয়েছে- ‘মহাকাল’ বলতে দিবারাত্রির আবর্তন-বিবর্তনকে বুঝানো হয়েছে। রাত্রি উপনিত হলে অন্ধকার ছেয়ে যায়। আর দিন প্রকাশ পেতেই সমস্ত জিনিস উজ্জল হয়ে উঠে। তাছাড়া রাত কখনো লম্বা আর দিন কখনো চোট, আবার দিন কখনো লম্বা রাত কখনো ছোট হয়ে থাকে।


এইদিবা-রাত্রি অতিবাহিত হওয়ার নামই হল কাল, যোগ বা সময়; যা আল্লাহর কুদরতি (শক্তি) ও কারিগরি ক্ষমতার প্রমাণ করে। আর এ জন্যই তিনি কালের কসম খেয়েছেন।পূর্বেই বলা বলা হয়েছে, আল্লাহ পাক নিজ সৃষ্টির যে কোন  বস্তুর কসম খেতে পারেন। কিন্তু মানুষের জন্য আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কার কসম খাওয়া বৈধ নয়।

(অনেকের মতে العَصر মানে আসরের সময় বা নামাজের সময় বলা হয়েছ। বলা বাহুল্য মহান সৃস্টিকর্তা সেই জিনিসেরই কসম খেয়ে থাকেন, যার বড় গুরুত্ব আছে।- সম্পাদম। (তাফসীরে আহসানুল বয়ান)



তাই গুরুত্ত্ব ও শুক্ষতার দিক থেকে মহাবিশ্বের আবর্ত ও বির্তন বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ । বাকি আল্লাহই ভাল জানেন।

অতপর তিনি বললেন- إن الإ إنسان لفي خسر  “সমম্ত মানুষ ধ্বংশে নিমর্জিত” অর্থাৎ- বণী আদমের প্রথম ব্যাক্তি থেকে শুরু করে শেষ ব্যাক্তি পর্যন্ত সকলে মহাধ্বংশের মাঝে নিমজ্জিত। এই বাক্যে সকল নবী রাসূল হতে শুরু করে বনী আদমের সর্বশেষ ব্যাক্তি পর্যন্ত শামীল। এখানে মহান আল্লাহ সুবহানু ওতায়ালা মানুসের সন্দহ দূর করার জন্য বেশ কয়েকটা নিশ্চয়তার সূচক শব্দ ব্যাবহার করেছেন। প্রথম খেলেন কসম অথচ তার জন্য কসম খাওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। অথচ তিনি কসম খেলেন। আমরা জানি কোন উচ্চপদস্থ্য, সত্যনিষ্ঠ ব্যাক্তি তার কথা শ্রোতাকে বিশ্বাস করার জন্য কসম থেতে হয়না। তিনি শুধু ব্যাক্ত করলেই তা শ্রোতার কাছে বিশ্বাস যোগ্য হয়। আর আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালার চেয়ে সত্যবাদী এবং উচ্চমর্যাদাশীল আর কে আছে? তবুও তিনি কসম খেলেন। কারন তিনি বলতে চাচ্ছেন যে, সাম্নে যে চারটি বিষয় আলোচনা করা হবে তার প্রতিটি বিষয় যদি বাস্তবায়ন  জীবনে না থাকে তবে সে কোন প্রকার বিচারের দিনে ও পার পাবেনা তার প্রতি দৃষ্টি আরোপ করেছেন। এমন কি তিনি হয়তো আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হতে পারেন। হয়তো তার সংশয় নিরসনের জন্য আল্লাহ সুবহানুহু তায়ালা কসম খেলেন।


দ্বীতীয়ত আল্লাহ আনলেন-“ ( إن ) নিশ্চয় ” আমরা জানি বাংলা ভাষাই নিশ্চয় শব্দটি নিশ্চয়তা সূচক শব্দ। এটি সকল প্রকার সন্দকে মুছেদেয় বা দূরীভুত করে দেয়।


তৃতীয়ত তিনি আনলেন الإ انسان ( সামস্ত মানুষ ) । ইনসান  বলতে পারতেন, কিন্ত তা বললেন না । তিনি বললেন আল-ইংসান। মানি তার পূরবে “আলিফ-লাম” আনলেন। একে বলে “আলিফ-লামে” জিন্সসিয়া বা জাতীবাচক আলিফ-লাম । যদি কোন জাতির পূরবে এই জাতিয় আলিফ লাম আসে ঐ জাতের সকলকে শামীল কেরদেয়। তাই এখানে কোন মানুষকে বাদ দেওয়া হয়নি।

এখানে সকল সলেহ নেককার লোককে পাপিদের সাথে শামীল করার কারণ হল। অধিকাংশের প্রতি লক্ষরেখে মহান আল্লাহ এক সাথে উল্লেখ করেছেন। কারণ অধিকাংশ লোকের তুলনা মুমিন, সালেহ্ নেককার লোক অত্যান্ত কম। তাছাড়া আপনি দেখবেন, অধিকাংশ লোকের মাঝে কম সংখক লোকের কথা হারিয়ে যায়। তাই আল্লাহ তায়ালা এখানে সেই দিকে প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন।


এছাড়া আরবী ভাষায় কোন কিছুর ব্যাপকতা প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রথমে না তার পরে হ্যাঁ করা হয়। একে আরবী ভাষায় হচর বলে। যেসনঃ কালেমার মাঝে আনা হয়েছে। لا إله الله ( আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নাই ) যদি আমরা এর সরল অনুবাদ করি তা হলে তার অর্থ হবে নাই কোন সত্যমাবুদ আল্লাহ ছাড়া । এখনে ও প্রথমে না, তার পরে হ্যাঁ, একই নীতি অনুসরন করা হয়েছে। সূরা আসরে আল্লাহ সু্বহানুহু ওতায়ালা বলেন-

و العصر - إن الإنسان لافى خسر - إلا الدين آمنوا و عملو ا الصالحاث - و توا صو ا بالحق و توا صو ا با الصبر -

অর্থাৎ- মহাকলের শপথ! নিশ্চয়! সমস্ত মানব জাতি ধ্বংশে নিমজ্জিত। তবে তারা ব্যাতিত, যারা ( আল্লাহর প্রতি ) ঈমান এনেছে, নেক আমল করেছে, আর হক্কের দিকে মানুষকে আহ্বান করেছে, আর (হক্কের প্রতি আহ্বান কেরতে গিয়ে জুলুম নিপিড়নে ) ধৈর্য়্য ধারণ করেছে।

এখানে তেমনি সেই নীতে অনু স্বরন করা হয়েছে। প্রথেমে না তার পরে হ্যাঁ। এখানে তবে বলে  আল্লাহ বল্লেন এই চারটি কাজ যারা করেছে তারা ব্যাতিত বাকি সবাই মহাক্ষতির মাঝে রয়েছে। যে কথা আল্লাহ তায়ালা কসম ও নিশ্চয়তা শোচক শব্দ যোগ করে বললেন।

আমি এতলম্বা আলোচনার উদ্দেশ্য হল প্রথম শর্তটাকে আপনাদের সাম্নে তুলে ধরা । আমি আজকের আলোচনা إلا الدين آمنوا এর মাঝে রেখে শেষ করতে চাই।


আল্লাহ বললেন- তবে যারা ইমান এনেছেঃ 


ইমান মানি বিশ্বাস করা। মেনে নেওয়া, কোন বিষয়ের প্রতি আগাদ বিশ্বাসের নাম ইমান। আমর ইমার আনার জন্য সে বিষয় সম্পর্কে জানা বুঝা আবশ্যক। কারণ কোন কিছুর উপর যদি যথাযথ জ্ঞান না থাকে তবে সে বিষয়কে আগাদ বিশ্বাস করা যায়না। থেকে যাই অগনিত সন্দহ্। এই সন্দহ থেকে মানুষ অনেক সময় সত্যকে

অস্বীকার করে বসে। যা নিতান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাইতো আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালা বলেন -

فعلم انه لااله الا الله واستغفرلذنبك

"" সূতরাং জেনে রাখো আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নাই। সূতরাং ( হে রাসূল) নিজের (এবং সকল মুমিনের)  ভূল - ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।"" (সূরা- মুহাম্মদ -১৯)
এখানে আল্লাহ বলছেন ""জেনে রাখো আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নাই"" এখানে আল্লাহ বলছেন আল্লাহ্‌ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন ফরজ। অর্থাৎ আল্লহর যাত সম্পর্কিত, আল্লাহর মর্যাদা সম্পর্কিত, আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কিত এখানে শামিল থাকিবে। অর্থাৎ-তিনটা বিষয় এর সাথে সম্পৃক্ত ।

১। আল-আসমাউস সিফাতঃ
আল্লাহর সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নাম সমূহ সম্পর্কে জানা এবং তা আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা।  এই সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন।
২। রুবুবিয়্যাতঃ
আল্লাহ সৃষ্টি কর্তা জীবন দাতা রিঝিকদাতা, আকৃতি দাতা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
৩। তাওহীদে উলুহিয়্যাহঃ
ইবাদতে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ষ্ট কারা। কিভাবে ইবাদত করতে হবে তা জানা। অর্থাৎ ইবাদতের পদ্ধতি জনা।

এই জ্ঞান টুকু জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। এক কথাই বলতে গেলে যেটুকু জ্ঞান অর্জন করলে আল্লাহ সম্পর্কে জানা যাই।মনি শিরিক মুক্ত জীবনযাপন করা যায়। শিরিকমুক্ত ইবাদত করা যায়। রাসূলের দেখানো পদ্ধতিতে ইবাদত করা যায়। হারাম -হালাল চিনা যায়,এবং তা থেকে বাঁচে থাকা যাই, এইটুকু জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.