সেই তিনটি মৌলিক নীতি ও তার প্রমাণপঞ্জী, যা প্রতিটি বান্দার জন্য জানা অবশ্যক বা ওয়াজিব। ০১ম পার্টঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
====================
====================
পারম্ভিক কিছু কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা, আসসালামুয়ালাইকুম ওরহমাতুল্ল।আজকে থেকে যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনার করার ইচ্ছে রেখেছি, তা হল সেই তিনটি মৌলিক নীতি ও তার প্রমাণপূঞ্জী। এটা একটা প্রসিদ্ধ অতি ছোট বই।বই বা কিতাব টির মূল লেখক হলেন “শাইখুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব (রঃ)”। কিতাবটি অতি সংক্ষিপ্ত হওয়া সত্তেও, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এতই বেশী যে এই সম্পর্কে বহু শাইখ আলোচনা ও শরাহ করেছেন।এই কিতাবের গুরুত্ত ও প্রয়োজনীয়তা প্রতি লক্ষ করে শাইখ নাসীর উদ্দিন আলবানী রঃ একে “আর-রা’ছু বিল এলেম” বলে অভিহিত করেছেন। অথচ আমাদের দেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে এ সম্পর্কে তেমন কোন আলোচনা করা হয়নি।যার পরিনতিতে আমরা এই তিনটি মূলনীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ উধাসিন। অথচ বিষয়টি আমাদের মুসলিম জীবনের ঈমান বা তাওহীদের সাথে সম্পর্কিত। এই বিষয় সম্পর্কে জানা না থাকার কারনে আমাদের মুসলিম উম্মাহ্ ইসলামের মূল ভিত্তি গুলো সম্পর্কে একে বারে উধাসিন। আমরা মুসলিম হওয়া সত্বেও আমরা ইসলাম বিরুধি কাজ করতে দিধা করি না।কারণ, অজ্ঞতা। আরো একটা মজার বিষয় হল এই তিনটি বিষয়ের জ্ঞান না থাকার কারনে আমাদে মুসলিমদের মাঝে মুর্তাদ বা নাস্তিকতা বাড়ছে। যদি আমরা এই বিষয়টি জ্ঞান অর্জন করতাম, যথাযথ ভাবে আমাদের রবের পরিচয় পেয়ে যেতাম। আর রবের পরিচয় প্রাপ্ত ব্যাক্তি কোন দিন নাস্তিক হতে পারে না।কারণ তার বিবেক বারবার তাকে বাধাদিতে থাকে, রবের পরিচয় স্বরূপ তার নিজের কাছে বারবার তুলে ধরতে থাকে।ফলে সে আর দ্বীন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। আর এই বইটি মানুষকে রবের পরিচয় এবং রবের প্রতি বান্দার দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথভাবে আলোচনা করে।
আমি এই লেখাটি লিখতে শাইখের মূল কিতাবের অনুস্বরন করেছি এবং অনুবাদের ক্ষেত্রে শাইখ ডঃ মুহাম্মদ আবুবকর যাকারিয়ার অনুবাদকে ফলো করেছি। কিতাবটি পড়ে আমার সামান্য জ্ঞানে যেটুকু আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালা বুঝার সুযোগ করে দিয়েছেন তা তুলোধরার চেষ্টা করেছি।
========================================================================
بسم الله الرحمن الرحيم
اعلم رحمك الله انه يجب علينا تعلم اربع مساءل
'الاوله: العلم' وهو معرفةالله' ومعفة نبيه' ومعرفةدين الاسلام با لا دلة
'الثانية: العمل به
'الثالثة: الدعوة اليه
'الربعة: الصبر على الاذى فيه
والدليل قوله تعالى: بسم الله الرحمن الرحيم- والعصر- ان الانسان لفى خصر- الاالذين امنوا وعملواالصلحت وتواصوابالحق
وتواصوبالصبر - ] ١-٣[سورة العصر -
وقال الشافعى رحمه الله تعالى:" لوماانزل الله حجة على خلقه الاهذه السورةلكفتهم- وقال البخارى رحمه الله تعالى: باب: "العلم قبل القول والعمل، والدليل قوله تعالى:" فاعلم انه لااله الاالله واستغفر لذنبك"[سوورة محمد-_١٩] فبدابالعلم قبل القول والعمل- ا
وتواصوبالصبر - ] ١-٣[سورة العصر -
وقال الشافعى رحمه الله تعالى:" لوماانزل الله حجة على خلقه الاهذه السورةلكفتهم- وقال البخارى رحمه الله تعالى: باب: "العلم قبل القول والعمل، والدليل قوله تعالى:" فاعلم انه لااله الاالله واستغفر لذنبك"[سوورة محمد-_١٩] فبدابالعلم قبل القول والعمل- ا
অনুবাদঃ
শুরু করা করছি আল্লাহর পরম করুণাময় অতিদয়ালু আল্লাহর নামে।
জেনে রেখ ( হে পাঠক ), আল্লাহ তোমার উপর রহমত করুন! জেনে নাও যে, চারটি বিষয়ের জ্ঞানলাভ করা আমাদের জন্য অবশ্যই কর্তব্য তথা ওয়াজিব।
এক. বিদ্যা অর্জন কারাঃ আর তা হল এমন বিদ্যা, (এলেম বা জ্ঞান ) যার সাহায্যে দলীল প্রমাণ সহ আল্লাহর পরিচয় জানা যাই, আর নবী (সঃ) এর পরিচয় জানা যাই, এবং দ্বীন ইসলামের পরিচয় জানা যাই।
দুই. আল-আমলঃ সেই বিদ্যার উপর আমল করা বা বাস্তব জীবনে অর্জিত বিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো।
তিন. তার প্রতি মানুষকে আহ্বান করাঃ অর্জিত বিদ্যার প্রতি মানুষকে আহ্বান করা।
চার. ঐ বিদ্যার প্রতি আহ্বান গিয়ে বিপদে আপদে ধৈর্য ধারণ করা।
আর এর প্রমাণ বা দলীল হল, আল্লাহর তায়ালার বাণীঃ
ফরম করূনাময় আল্লাহ নামে। মহাকালের শপথ! নিশ্চয় সমস্ত মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত বা মহাধ্বংশে নিমর্জিত। তবে যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ গুলি করেছে, পরষ্পর পরষ্পর কে হক্কের দিকে বা সত্যর দিকে আহ্বান করেছে এবং পরষ্পর পরষ্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে , তারা ব্যতিত। [সূরা আছর- ১-৩]
আর এই সূরাটি সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন- “ যদি আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে এই সূরা ছাড়া আর কোন অকাট্য ও শাণিত যুক্তি অবতির্ণ না করতেন, তাহলে এই সূরাই তাদের জন্য সকল দিক দিয়ে যথেষ্ট হয়ে যেতো।”
আর ( ইমাম ) বোখারী রহঃ বলেন- “( তার সহীহুল বোখারীতে একটা অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন ) অধ্যায়ঃ “কখা ও কাজের পূর্বে বিদ্যার স্থান।”
এর প্রমাণ হল আল্লাহর তায়ালার বাণী- “কাজেই জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই । আর (হে রাসূল ) নিজের ( এবং সকল মুসলিম নর-নারীর ) ভূল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর।” [ সুরা মুহাম্মদ- ১৯]
এখানে জ্ঞান বা বিদ্যা অর্জনকে কথা ও কাজের তথা আমলের পূর্বে েএনেছেন আল্লাহ সুবহানুহু ওতায়ালা।
========================================================================
শাইখ রহঃ বলেনঃ
জেনে রেখ ( হে পাঠক ), আল্লাহ তোমার উপর রহমত করুন!
শাইখ রঃ জেনে রেখো শব্দ দ্ধারা তার বক্তব্য শুরু করেন। কারণ জানতে গেলে বিদ্যা অর্জনের বিষয়টি সর্ব প্রথম আসে। তাছাড়া এর মাঝে আরো একটা বিষয় স্পষ্ট হয় তা হল বিদ্যাির প্রয়োজনিয়তা।
তার পর লেখক পাঠকের জন্য দোয়া করলেন, তোমার উপর আল্লাহ রহতম করুণ। যদি কোন ব্যাক্তির প্রতি আল্লাহর রহমত না থাকে তবে সে কোন দিন সঠিক পখ পেতে পারে না। তাই এই কথা দিয়ে লেখক সেই দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যেমন রাসূল সঃ বলেন -
শাইখ রহঃ বলেনঃ
জেনে রেখ ( হে পাঠক ), আল্লাহ তোমার উপর রহমত করুন!
শাইখ রঃ জেনে রেখো শব্দ দ্ধারা তার বক্তব্য শুরু করেন। কারণ জানতে গেলে বিদ্যা অর্জনের বিষয়টি সর্ব প্রথম আসে। তাছাড়া এর মাঝে আরো একটা বিষয় স্পষ্ট হয় তা হল বিদ্যাির প্রয়োজনিয়তা।
তার পর লেখক পাঠকের জন্য দোয়া করলেন, তোমার উপর আল্লাহ রহতম করুণ। যদি কোন ব্যাক্তির প্রতি আল্লাহর রহমত না থাকে তবে সে কোন দিন সঠিক পখ পেতে পারে না। তাই এই কথা দিয়ে লেখক সেই দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যেমন রাসূল সঃ বলেন -
من يريدالله خيرا ويفقىء فى الدين
অর্থাৎ- আল্লাহ যদি কারো কল্যাণ চান, তবে তাকে দ্বীনি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান দান করেন।
এছাড়াও আরো একটা বিষয় আছে, তা হল কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য তা অধ্যায়নের মত ধৈর্য্য থাকা টাও এতে শামীল, আর সর্বশেষ বিষয় থাকে তা হল বোধগম্যতা। কোন বক্তার সপলতা - ব্যার্থতা নির্ভর করে শ্রোতার বোধগম্যতার উপর। তাই লেখক বললেন আল্লাহ তোমার উপর রহমত বা রহম করুণ যাতে আমার কথার গুরুত্ব, প্রয়োজনীতা, ধৈর্য্য সহকারে শুনার ক্ষমতা, বোধগম্যতা আল্লাহ তোমাকে দান করেন। বিশেষ করে অন্তরের বক্রতা হতে, আল্লাহ তোমার প্রতি এই রহমত গুলি করুণ।
অতপর লেখক রহঃ বলেন-
انه يجب علينا تعلم اربع مساءىل
অর্থাৎ- জেনে রেখো, নিশ্চয় আমাদের জন্য ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যক করা হয়েছে চারটি বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করাঃ
চারটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা বা জানা আমাদের জন্য অবশ্যক। মানি এটা এমন চারটি বিষয় প্রতিটি মুসলিম নর-নারীকে আবস্যিকরূপে জানতে হবে। কারণ দ্বীন ইসলামকে সঠিকভাবে জানা এবং মানা এই চার টি বিসয় ছাড়া সম্ভব নয়। তাই লেখক রঃ নিম্ন বর্নীত চার বিষয় সম্পর্কে বলেন- এটা আমাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে।কারণ এচার টি বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া ইমান রাখা যাইনা। এছাড়াও এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারনে মানুষ যদি এই বিষয়ে পাপে বা শির্কে লিপ্ত হয়ে মারা যাই, তার কোন ছাদড় নেই বলে আল্লাহ কসম খেয়ে বলেছেন। যদি সে আবেদ হয়, যতেই ভাল মানুষ হোক না কেন। এই মর্মে কুরান-হাদীসের দলীল রয়েছে।
তার একটা প্রমাণ হল মহান আল্লাহর বাণী-
والعصر- ان الانسان لفى خصر
انه يجب علينا تعلم اربع مساءىل
অর্থাৎ- জেনে রেখো, নিশ্চয় আমাদের জন্য ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যক করা হয়েছে চারটি বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করাঃ
চারটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা বা জানা আমাদের জন্য অবশ্যক। মানি এটা এমন চারটি বিষয় প্রতিটি মুসলিম নর-নারীকে আবস্যিকরূপে জানতে হবে। কারণ দ্বীন ইসলামকে সঠিকভাবে জানা এবং মানা এই চার টি বিসয় ছাড়া সম্ভব নয়। তাই লেখক রঃ নিম্ন বর্নীত চার বিষয় সম্পর্কে বলেন- এটা আমাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে।কারণ এচার টি বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া ইমান রাখা যাইনা। এছাড়াও এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারনে মানুষ যদি এই বিষয়ে পাপে বা শির্কে লিপ্ত হয়ে মারা যাই, তার কোন ছাদড় নেই বলে আল্লাহ কসম খেয়ে বলেছেন। যদি সে আবেদ হয়, যতেই ভাল মানুষ হোক না কেন। এই মর্মে কুরান-হাদীসের দলীল রয়েছে।
তার একটা প্রমাণ হল মহান আল্লাহর বাণী-
والعصر- ان الانسان لفى خصر
মহাকলের শপথ- সমস্ত মানুষ ধ্বংশের মাঝে নিমর্জিত।
এখানে আল্লাহ কসম খেয়ে বলেছেন। সূতরাং সন্দহ, সংশয় করার কোন সুযোগ নেই।
২য়ত শিরিক যুক্ত আমল পরিত্যাজ্য, আল্লাহর শিরিক যুক্ত আমলকে কবুল করেন না। এই মর্মে আল্লাহ হাদীসে কুদসীতে বলেন-
من عمل عملا فقد أشرك فيه معي تركته و شركه
“যে কোন ব্যাক্তি কোন একটা আমল করল, অতপর সেই আমলের সাথে শিরিক মিশ্রিত করল- আমি তাকে বর্জন- করি এবং তার শিরিক কে বর্জন করি।”
আল্লাহ বললেন না আমি তাকে বর্জন করি তার আমলকে বর্জন করি। বরং তিনি বললেন- আমি তাকে বর্জন করি আমলকে বর্জন করি।বুঝা গেল আমলে শিরিক যুক্ত হলে তা আর আমল থাকেনা তা শির্কে রূপান্তরীত হয়ে যায়।
চলবে।................................................... ইনশা আল্লাহ।
পাঠকদের সুবিদার জন্য আজকে এখানে শেষ করতেছি।
০২ পাঠের দিকে চোখ রাখুন!
No comments