৫ম/// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ৫ম পার্টঃ
৫ম /// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ৫ম পার্টঃ বা সর্বশেষ পাঠঃ
ইউসুফ আঃ ও জুলেখা কে নিয়ে মিথ্যাচারঃ
আমাদের সমাজে বহু প্রচলিত ঘটনা আছে যার মধ্যদিয়ে চেষ্টা করা হয় প্রেম পবিত্র ও এটা জায়েজ। তার মধ্যে কয়েকটি হল লাইলি- মুজনু, শীরিন-ফরহা, ইউসুফ- জোলেখা। আমরা গত পর্বে আলোচনা করেছি, উইসুফ-জুলেখার কাহিনি, যা ছিল মিথ্যা ও বানোয়াট।
এই সমস্ত মিথ্যা কাহিনির মাঝে সব চাইতে জগন্য মিথ্যা হল আল্লাহর নবী ইউসুফ আঃ এর উপর প্রেমের মিথ্যা আরোপ।একে কেন্দ্র করে কতক মিথ্যা কথা প্রচার প্রচারনা রয়েছে আমাদের সমাজে। আমরা গত পর্বে তা মিথ্যা ও বায়াট হাওয়ার প্রমাণ দেখিয়েছি। আজকে আমরা আলোচনা করব সবচাইতে জগন্য মিথ্যা অপবাদ নিয়ে। আর তা হল আল্লাহর নবী ইউসুফ আঃ আরোপিত মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন।
একদিন তারা ইয়াকুব আঃ কে অনুরোধ করল ইউসুফ আঃ কে সাথে দেওয়ার জন্য, ইয়াকুব আঃ রাজী না হলে তারা বাবাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করে ইউসুফ আঃ কূপে পেলেদেন, আর বাবা ইয়াকুব আঃ কাছে এসে ইউসুফ আঃ জামায় মিথ্যা রক্ত মেখে এনে বলেন, ইউসুফ কে নেকড়ে কেয়ছে। ইয়াকুব আঃ কথাটা বিশ্বাস না করে, বললেন আমার জন্য ধৈর্য ধারণই সর্বশ্রেষ্ঠ।
এদিকে ইউসুফ আঃ কে একদল বনিকেরা কূপ থেকে তুলে মিশরের বাজারে অতি সামান্য মূল্যে বিক্রি করে। কিনেয় মিশরে রাজা কিনে নিয়ে, তার স্ত্রীকে বলে একে স্বম্নানে থাকার ব্যাবস্থা করার জন্য, এবং পুত্র হবেসাবে গ্রহণ করার জন্য।( ইউসূফ-২১) অতপর ইউসুফ আঃ যখন যৌবনে প্রার্পন করে তখন তার প্রতি মহিলা লায়িত হয়। আর ইউসুফ আঃ কে একঘরে দর্জাবন্ধকরে তার সাথে যৌন মিলনের জন্য আহবান করে ইউসুফ আঃ বললেন আমি আল্লাহকে ভয় করি। বং দৌ আল্লাহর তা এই ভাবে প্রকাশ করেনঃ
(وَلَقَدۡ هَمَّتۡ بِهِۦۖ وَهَمَّ بِهَا لَوۡلَاۤ أَن رَّءَا بُرۡهَـٰنَ رَبِّهِۦۚ كَذَ ٰلِكَ لِنَصۡرِفَ عَنۡهُ ٱلسُّوۤءَ وَٱلۡفَحۡشَاۤءَۚ إِنَّهُۥ مِنۡ عِبَادِنَا ٱلۡمُخۡلَصِینَ)
নিশ্চয় সেই মহিলা তার প্রতি আসক্তা হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত; যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত। তাকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখবার জন্য এইভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। অবশ্যই সে ছিল আমার নির্বাচিত বান্দাদের একজন। ( ইউসুফ, আয়সতঃ ২৪)
অতপর ইউসুফ আঃ দৌড়ে দর্জার দিকে যায় পিছনে পিছনে জুলেখা ও যায়, এবং ইউসুফ আঃ জামার পিছনে ধরে টেনে জামা ছিড়ে ফেলে। আর জুলেখার স্নমীকে তারা দর্জার সাম্নে দেখতে পায়। জুলেখা তার স্বামীকে ইউসুফ আঃ বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। রাজদর্বারে একজন লোক বাদশাহ কে পরামর্শদেন যদি জামার সাম্নে ছিড়া হয় তবে ইউসুফ আঃ দুষি, আর যদি পিছনে ছিড়া হয় জুলেখা দুষি। দেখা গেল পিছনে ছিড়া। এদিকে মহিলারা জুলেখাকে নিয়ে কুটু কথা বলাই, জুলেখা সবাইকে নাসায় আমন্ত্রণ জানায়। প্রত্যেককে একটি করে লেবু ও চুরি দেয়। ইউসুফ আঃ সাম্নে কাটতে নির্দেশ দিলে সবাই লেবুর পরিবর্তে হাত কেটে ফে। উপস্থিত মহিলারা সবাই বলল এতো মনুষ নয় ফিরিস্তা।
লেখা ইউসুফ আঃ খবর পাঠায় যদি জুলেখার কথা না মানে তবে কারাবরণ করতে হবে। ইউসুফ আঃ আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, এবং দোয়া করেন, আর বলেন "হে আল্লাহ আপনি যদি আমার পক্ষ থেকে একে প্রতি হত না করেন আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আর জলেম হবার চেয়ে জেল খানা অনেক ভাল। " অতপর ইউসুফ আঃ বেশ কিছু দিন জেল খাটলেন এবং সেখানে তিনি স্নপনের ব্যাখ্যা শিখলেন ( আল্লাহ শিখালেন।) বাদশার একটা স্বপ্নের ব্যাখ্যার মঝে মুক্তি পান। জুলেখা নিজের অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা। সম্ভ্রান্ত মহিলা রা ইউসুফ আঃ নিষ্পাপ বলে সাক্ষ্যদেয়।
এরপর ইউসুফ আঃ মিশরের খাদ্য মন্ত্রির পদ গ্রহণ করেন, নাটকীয় ভাবে তাঁর বাবা ভাইদের হাজির করেন। তাঁর ১১ ভাই ও তাঁর মা-বাবা তাঁকে সম্মানী সেজদা করে। এই হল অতি সংক্ষিপ্ত ইউসুফ আঃ এর ঘটনা। ( বিস্তারিত আলোচনা হয়তো কোনদিন করতে পরি)
এখানে কয়েক টা বিষয় কোড করার মত ১। মিথ্যাচার ইউসুফ আঃ কে খরিদ করে মিশরের রাজা। কিন্তু কাহিনিতে বলা হয় জুলেখা স্বপ্ন দেখে ইউসুফ আঃ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাই জুলেখা তাকে ক্রয় করে নিয়ে আসে। এই ব্যাদব এত মিথ্যুক এখসনে আল্লাহ কে মিথ্যুক বানালো।
২য় বিষয় হল আল্লাহ সার্টিপিকেট দিয়েছেন ইুউসুফ আঃ জুলেখার কথা ভাবেও নি। প্রেমতো দূরের কথা। এই বেয়াদব রা বলেঃ না ইউসুফ আঃ প্রেম করছেন। অতি বৃদ্ধ বয়সে জুলেখাকে বিয়ে করেছেন। পরে নবী দোয়া করলে জুলেখা কে নাকি আল্লাহ আবার যুবক করেদেন যা কোন ইতিহাস বা কোন দলীল নির্ভর নয়। এটাকে আমরা বানোয়াট বলেধরতে পারি।
এই মিথ্যুকদের মহান আল্লাহর একটা কথা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলে, " তার চেয়ে আরকে জালিম হতে পারে যে, আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে"
এই সমস্ত মিথ্যা কাহিনির মাঝে সব চাইতে জগন্য মিথ্যা হল আল্লাহর নবী ইউসুফ আঃ এর উপর প্রেমের মিথ্যা আরোপ।একে কেন্দ্র করে কতক মিথ্যা কথা প্রচার প্রচারনা রয়েছে আমাদের সমাজে। আমরা গত পর্বে তা মিথ্যা ও বায়াট হাওয়ার প্রমাণ দেখিয়েছি। আজকে আমরা আলোচনা করব সবচাইতে জগন্য মিথ্যা অপবাদ নিয়ে। আর তা হল আল্লাহর নবী ইউসুফ আঃ আরোপিত মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন।
ইউসুফ আঃ ও জোলেখাঃ
সংক্ষে ইউসুফ আঃ ও জুলেখা ঘটনা হল এমনঃ ইয়াকুব আঃ ১২ জন পুত্র ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ছিলেন ইউসুফ আঃ। একদিন ইউসুফ আঃ একটি স্বপ্ন দেখেন, ১১ টি নক্ষত্র চন্দ্র ও সূয্য তাঁর প্রতি সেজদায় অবনত হতে। এই স্বপ্নের কথা বাবা ইয়াকুব আঃ কে জানালে তিনি বলেন এই কথা কাওকে বলনা।বাবা ইয়াকুব আঃ সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন ইউসুফ আঃ কে। ফলে অন্য ১০ ভাই তাতে ইশ্বান্বীত হতে ইউসুফ আঃ কে হত্যার করার জন্য একত্র হয়। তাদের একজন বলল, আমরা ইউসুফ কে হত্যা না করে কূপে ফেলে দিব, যাতে করে কোন পানি পানকারী তুলে নিয়ে যায়।একদিন তারা ইয়াকুব আঃ কে অনুরোধ করল ইউসুফ আঃ কে সাথে দেওয়ার জন্য, ইয়াকুব আঃ রাজী না হলে তারা বাবাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করে ইউসুফ আঃ কূপে পেলেদেন, আর বাবা ইয়াকুব আঃ কাছে এসে ইউসুফ আঃ জামায় মিথ্যা রক্ত মেখে এনে বলেন, ইউসুফ কে নেকড়ে কেয়ছে। ইয়াকুব আঃ কথাটা বিশ্বাস না করে, বললেন আমার জন্য ধৈর্য ধারণই সর্বশ্রেষ্ঠ।
এদিকে ইউসুফ আঃ কে একদল বনিকেরা কূপ থেকে তুলে মিশরের বাজারে অতি সামান্য মূল্যে বিক্রি করে। কিনেয় মিশরে রাজা কিনে নিয়ে, তার স্ত্রীকে বলে একে স্বম্নানে থাকার ব্যাবস্থা করার জন্য, এবং পুত্র হবেসাবে গ্রহণ করার জন্য।( ইউসূফ-২১) অতপর ইউসুফ আঃ যখন যৌবনে প্রার্পন করে তখন তার প্রতি মহিলা লায়িত হয়। আর ইউসুফ আঃ কে একঘরে দর্জাবন্ধকরে তার সাথে যৌন মিলনের জন্য আহবান করে ইউসুফ আঃ বললেন আমি আল্লাহকে ভয় করি। বং দৌ আল্লাহর তা এই ভাবে প্রকাশ করেনঃ
(وَلَقَدۡ هَمَّتۡ بِهِۦۖ وَهَمَّ بِهَا لَوۡلَاۤ أَن رَّءَا بُرۡهَـٰنَ رَبِّهِۦۚ كَذَ ٰلِكَ لِنَصۡرِفَ عَنۡهُ ٱلسُّوۤءَ وَٱلۡفَحۡشَاۤءَۚ إِنَّهُۥ مِنۡ عِبَادِنَا ٱلۡمُخۡلَصِینَ)
নিশ্চয় সেই মহিলা তার প্রতি আসক্তা হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত; যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত। তাকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখবার জন্য এইভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। অবশ্যই সে ছিল আমার নির্বাচিত বান্দাদের একজন। ( ইউসুফ, আয়সতঃ ২৪)
অতপর ইউসুফ আঃ দৌড়ে দর্জার দিকে যায় পিছনে পিছনে জুলেখা ও যায়, এবং ইউসুফ আঃ জামার পিছনে ধরে টেনে জামা ছিড়ে ফেলে। আর জুলেখার স্নমীকে তারা দর্জার সাম্নে দেখতে পায়। জুলেখা তার স্বামীকে ইউসুফ আঃ বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। রাজদর্বারে একজন লোক বাদশাহ কে পরামর্শদেন যদি জামার সাম্নে ছিড়া হয় তবে ইউসুফ আঃ দুষি, আর যদি পিছনে ছিড়া হয় জুলেখা দুষি। দেখা গেল পিছনে ছিড়া। এদিকে মহিলারা জুলেখাকে নিয়ে কুটু কথা বলাই, জুলেখা সবাইকে নাসায় আমন্ত্রণ জানায়। প্রত্যেককে একটি করে লেবু ও চুরি দেয়। ইউসুফ আঃ সাম্নে কাটতে নির্দেশ দিলে সবাই লেবুর পরিবর্তে হাত কেটে ফে। উপস্থিত মহিলারা সবাই বলল এতো মনুষ নয় ফিরিস্তা।
লেখা ইউসুফ আঃ খবর পাঠায় যদি জুলেখার কথা না মানে তবে কারাবরণ করতে হবে। ইউসুফ আঃ আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, এবং দোয়া করেন, আর বলেন "হে আল্লাহ আপনি যদি আমার পক্ষ থেকে একে প্রতি হত না করেন আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আর জলেম হবার চেয়ে জেল খানা অনেক ভাল। " অতপর ইউসুফ আঃ বেশ কিছু দিন জেল খাটলেন এবং সেখানে তিনি স্নপনের ব্যাখ্যা শিখলেন ( আল্লাহ শিখালেন।) বাদশার একটা স্বপ্নের ব্যাখ্যার মঝে মুক্তি পান। জুলেখা নিজের অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা। সম্ভ্রান্ত মহিলা রা ইউসুফ আঃ নিষ্পাপ বলে সাক্ষ্যদেয়।
এরপর ইউসুফ আঃ মিশরের খাদ্য মন্ত্রির পদ গ্রহণ করেন, নাটকীয় ভাবে তাঁর বাবা ভাইদের হাজির করেন। তাঁর ১১ ভাই ও তাঁর মা-বাবা তাঁকে সম্মানী সেজদা করে। এই হল অতি সংক্ষিপ্ত ইউসুফ আঃ এর ঘটনা। ( বিস্তারিত আলোচনা হয়তো কোনদিন করতে পরি)
এখানে কয়েক টা বিষয় কোড করার মত ১। মিথ্যাচার ইউসুফ আঃ কে খরিদ করে মিশরের রাজা। কিন্তু কাহিনিতে বলা হয় জুলেখা স্বপ্ন দেখে ইউসুফ আঃ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাই জুলেখা তাকে ক্রয় করে নিয়ে আসে। এই ব্যাদব এত মিথ্যুক এখসনে আল্লাহ কে মিথ্যুক বানালো।
২য় বিষয় হল আল্লাহ সার্টিপিকেট দিয়েছেন ইুউসুফ আঃ জুলেখার কথা ভাবেও নি। প্রেমতো দূরের কথা। এই বেয়াদব রা বলেঃ না ইউসুফ আঃ প্রেম করছেন। অতি বৃদ্ধ বয়সে জুলেখাকে বিয়ে করেছেন। পরে নবী দোয়া করলে জুলেখা কে নাকি আল্লাহ আবার যুবক করেদেন যা কোন ইতিহাস বা কোন দলীল নির্ভর নয়। এটাকে আমরা বানোয়াট বলেধরতে পারি।
এই মিথ্যুকদের মহান আল্লাহর একটা কথা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলে, " তার চেয়ে আরকে জালিম হতে পারে যে, আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে"
প্রেম হারাম হবার পতিপয় দলীলঃ
বিবাহ বহির্ভূত গায়রে মাহরুম নারী পুরুষের হসকল প্রকার সম্পর্ক হারাম ঘোষণা করে মান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ
الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ ۖ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَهُمْ ۖ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ ۗ وَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আজ তোমাদের জন্য সমস্ত ভাল জিনিস বৈধ করা হল, যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের (যবেহকৃত) খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য বৈধ[1] ও তোমাদের (যবেহকৃত) খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য বৈধ এবং বিশ্বাসী সচ্চরিত্রা নারীগণ ও তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীগণ (তোমাদের জন্য বৈধ করা হল);[2] যদি তোমরা তাদেরকে মোহর প্রদান করে বিবাহ কর, প্রকাশ্য ব্যভিচার অথবা উপপত্নীরূপে গ্রহণ করার জন্য নয়। আর যে কেউ ঈমানকে অস্বীকার করবে তার কর্ম নিষ্ফল এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।( সূরা মায়েদাঃ ৫)
সূরা মায়েদা হল রাসূল সঃ জীবনের শেষ মুহূর্তের নাঝিলকৃত সূরা সমূহের মাঝে একটি সূরা একটি মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়। এই সূরা আল্লাহ তায়ালা ইসলাম কে পরিপূর্ণ করার ঘোষণা দেন। এবং হারাম হালাল বস্তুর নির্দনাদেন। আমি পনাদের বুঝার সরাসরি তাফসীরে আহসানুল বয়ানের ব্যাখ্যাটুকু উপস্থিত করচি যাতে সকল প্রকার দন্দ নিরসন হয়।
[1] আহলে কিতাবদের যবেহকৃত সেই পশু হালাল বা বৈধ যার রক্ত প্রবাহিত করা হয়েছে। অন্যথা তাদের মেশিন দ্বারা যবেহকৃত পশু হালাল নয়। কেননা তাতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা বিলুপ্ত।
[1] আহলে কিতাবদের যবেহকৃত সেই পশু হালাল বা বৈধ যার রক্ত প্রবাহিত করা হয়েছে। অন্যথা তাদের মেশিন দ্বারা যবেহকৃত পশু হালাল নয়। কেননা তাতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা বিলুপ্ত।
[2] এখানে আহলে কিতাবদের (ঈয়াহুদী ও খ্রিষ্টান) মহিলাকে বিবাহ করার অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে প্রথমতঃ এই শর্ত লাগানো হয়েছে যে, তাকে পবিত্রা (সতী) হতে হবে; যে শর্ত আজকাল অধিকাংশ আহলে কিতাবদের মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়তঃ আয়াতের শেষে বলা হয়েছে যে, যারা ঈমানের সাথে কুফরী (অস্বীকার) করে, তাদের আমল নষ্ট হয়ে যায়। এখানে সতর্ক করা উদ্দেশ্য যে, এমন মহিলাকে বিবাহ করার ফলে যদি ঈমান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে খুবই ক্ষতির (সম্পদ) ক্রয় করা হবে। বর্তমানে আহলে কিতাবদের মহিলাদের বিবাহ করার ফলে ঈমান যে চরমতম ক্ষতির শিকার হবে, তা বর্ণনা করার অপেক্ষা রাখে না। অথচ ঈমান বাঁচানো ফরয কর্তব্য। একটি অনুমতিপ্রাপ্ত কর্মের জন্য ফরয কর্মকে বিপদ ও ক্ষতির সম্মুখীন করা যেতে পারে না। কেননা এই অনুমতিপ্রাপ্ত কর্মটি ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মে বাস্তবায়ন করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত উপরে উল্লিখিত দু’টি জিনিস (অসতীত্ব ও ঈমানের সাথে কুফরী) বিলুপ্ত না হয়েছে। এ ছাড়া অধুনা কালের আহলে কিতাবরা তাদের ধর্মীয় ব্যাপারে অসচেতন; বরং সম্পর্কহীন ও বিদ্রোহী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা কি আসলেই আহলে কিতাবের মধ্যে গণ্য হবে? (আল্লাহই ভালো জানেন।) (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)
তারপর বলা হয়েছে তোমরা নারীদের মোহর প্রদানে মধ্যে বিয়ে কর। উপপত্নী বা প্রকাশ্যে বেবিচারের জন্য নয়। মানি গোপনে বা প্রকাশ্যে প্রেম করার জন্য নয়। উক্ত আয়াত স্পষ্ট করে প্রেম সম্পূর্ণরূপে হরাম।
তারপর বলা হয়েছে তোমরা নারীদের মোহর প্রদানে মধ্যে বিয়ে কর। উপপত্নী বা প্রকাশ্যে বেবিচারের জন্য নয়। মানি গোপনে বা প্রকাশ্যে প্রেম করার জন্য নয়। উক্ত আয়াত স্পষ্ট করে প্রেম সম্পূর্ণরূপে হরাম।
কিন্তু আমাদের দেশের বদ মানুষ গুলো প্রেম স্বর্গের ফুল, স্বর্গ থেকে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে। যা মিথ্যা এবং বানোয়াট ছাড়া আর কিছু নয়। ওরা কত জগনন্ন তারা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা তারা হালাল বলে প্রচার করে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুণ এই জালেমদের থেকে।
আমীন।
আমীন।
No comments