সাইন্স এন্ড কাবাল্লাহ
সাইন্স এন্ড কাবাল্লাহ Tree of Life(kabbalah)
সে তাদের প্ররোচিত করে এই বলে যে, তারা যদি এই সাজারাতুল খুলদের(Tree of life) ফল গ্রহন করে তাহলে তারা চিরঞ্জীব(immortal) হয়ে যাবে, Angelic being এ ascend করবে এবং এক চিরস্থায়ী স্বপ্নরাজ্য(uto
pia) লাভ করবে যেখান থেকে কখনো বের হতে হবে না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
ﻓَﻮَﺳْﻮَﺱَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻗَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﺁﺩَﻡُ ﻫَﻞْ ﺃَﺩُﻟُّﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺷَﺠَﺮَﺓِ ﺍﻟْﺨُﻠْﺪِ ﻭَﻣُﻠْﻚٍ ﻟَّﺎ ﻳَﺒْﻠَﻰ
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা? [আত ত্বোয়া হা ১২০]
ﻓَﻮَﺳْﻮَﺱَ ﻟَﻬُﻤَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻟِﻴُﺒْﺪِﻱَ ﻟَﻬُﻤَﺎ ﻣَﺎ ﻭُﻭﺭِﻱَ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣِﻦ ﺳَﻮْﺀَﺍﺗِﻬِﻤَﺎ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﻧَﻬَﺎﻛُﻤَﺎ ﺭَﺑُّﻜُﻤَﺎ ﻋَﻦْ ﻫَـﺬِﻩِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻧَﺎ ﻣَﻠَﻜَﻴْﻦِ ﺃَﻭْ ﺗَﻜُﻮﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ
অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী [আরাফ ২০]
এর পরবর্তী ঘটনা জানেন। আদম-হাওয়াকে(আ) জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। শয়তান ওই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সে আদম সন্তানদেরকে পথভ্রষ্ট করার পিছনে লেগে আছে। সে গোটা সৃষ্টিতত্ত্ব, মেটাফিজিক্স(Origin of existence) এমনভাবে সাজিয়েছে যাতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ধারনাকেই একদম বাদ দেওয়া যায়। যাতে আদম-হাওয়া(আ) এর ঘটনাকে রূপক কল্পকথায় স্থান দেওয়া যায়। ইবলিস ও তার সহযোগীদের বানানো এই বিকল্প তত্ত্ব ও বিদ্যাকে প্রাচীনকাল থেকেই একদল লোক অনুসরন করত। এদের মধ্যে যারা মূর্খ তারা সরাসরি পৌত্তলিকতাকে(idolatry) বেছে নেয়। আর বিদ্বান বা ধূর্তরা সরাসরি প্রকৃতিপূজা, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং যাদুবিদ্যাকে দ্বীন রূপে গ্রহন করে। এরা তারা,যারা সব সময় নবী-রাসূলগনের(আঃ) দাওয়াত অস্বীকার করত। ইবলিস জান্নাতুল আদনের সেই পুরোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকে দুনিয়াতে এ সকল নিকৃষ্ট কাফিরদের মধ্যে মেটাফোরিক্যালি চালিত রেখেছে[৯]। Tree of life এর সেই সুস্পষ্ট ধোঁকার জাল সে যাদুবিদ্যার মধ্যে বিছিয়ে দিয়েছে। প্রাচীন ব্যবিলনের ইহুদীদের কাছে শয়তান সাজারাতুল খুলদের প্রতিশ্রুতিকে যাদুবিদ্যার ভেতর রূপকভাবে ঢুকিয়ে প্রদান করে। আজকে ইহুদীরা একে কাব্বালা নাম দিয়েছে। কাব্বালিস্টিক অকাল্ট ট্রেডিশনে Tree of life( ﺷَﺠَﺮَﺓِ ﺍﻟْﺨُﻠْﺪِ ) একদমই প্রাথমিক ও মৌলিক বিদ্যা।
Tree of life এ বিভিন্ন প্লেইন অব এক্সিস্টেন্স কুফরি শিক্ষা রয়েছে। এ কুফরি জ্ঞান লাভ করার মাধ্যমে কাব্বালিস্টরা শয়তানের প্রতিশ্রুত immortality(অনন্ত জীবন) এর বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারে। তাদেরকে শেখানো হয় মানুষের আত্মার মৃত্যু নেই। এটা বার বার রিইনকারনেট(পুনঃজন্ম) লাভ করতে থাকে।কাব্বালার ট্রি অব লাইফ শেখায় কিভাবে এই মৃত্যুহীন আত্মাকে বিকশিত(evolve) করতে করতে রক্তমাংসের শরীরসহ এঞ্জেলিক লাইট বিং এ রূপান্তর করে Rebirth বিহীন স্থির Eternal life পেতে পারে চিরস্থায়ী হায়ার ডাইমেনশনের স্বর্গরাজ্যে। হায়ার ডাইমেনশনাল সেই স্বর্গরাজ্যে প্রত্যেকেই হবে অমর আর উজ্জ্বল আলোকময় শরীরের এনলাইটেন্ড বিং। সে এক অবিনশ্বর জীবন ও রাজত্বের প্রতিশ্রুতি। সেখানে কাব্বালিস্টরা নাকি সৃষ্টিকর্তার সাথে তাদের অস্তিত্বগত পার্থক্যহীনতা অনুভব করবে[১০]! এ কাব্বালিস্টিক এ্যাপ্রোচ পূর্বে বাহ্যিক পৃথিবীতে আলকেমিক্যাল প্র্যাক্টিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কথিত অপবিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনও অমরত্বের সন্ধানে জীবনটাকে আলকেমিক্যাল-কাব
্বালিস্টিক স্ক্রিপচারগুলো ঘাটাঘাটি করে জীবন পার করেন। এমন কি তার মৃত্যুর পরে মৃতদেহে মাত্রাতিরিক্ত সীসা পাওয়া যায়, যা ছিল তার আলকেমিক্যাল চর্চার ফল। পদার্থবিদ মিচিও কাকুও নিউটনের কাব্বালার মধ্যে ডুবে থাকার বিষয়টির স্বীকৃতি দেন। যাদুবিদ্যার অস্তিত্ব ব্যবিলনিয়ান সভ্যতা পূর্বে থাকলেও, ব্যবিলন থেকে এর রিভাইভ্যাল ঘটে। সেখান থেকে যাদুবিদ্যা পৃথিবীর চার দিকে ছড়িয়ে শুরু করে।সে অঞ্চল হয়ে যায় ল্যান্ড অব ম্যাজাই। যাদুকর পিথাগোরাস এখান থেকেই যাবতীয় বিদ্যা নিয়ে গ্রিসে ফিরে নিজস্ব মিস্ট্রিস্কুল খোলেন। এরপরে প্লেটো তার শয়তানি বিদ্যাগুলোকে গভীরভাবে গ্রহন করে এবং আরো এক্সপ্যান্ড করে প্রচার শুরু করেন। প্লেটোনিক অকাল্ট ফিলসফি, জুডিও ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজমের সাথে গভীরভাবে ইমার্সড[৮]। প্লেটো সরাসরি ইহুদীদের থেকে কাব্বালিস্টিক শাস্ত্র নিয়ে সেগুলোকে বিস্তারিত এক্সপোনেট করেন। এজন্য তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা ইহুদী কাব্বালিস্টরাও সম্মানের সাথে স্মরন করে। তার নামে (কাব্বালিস্টিক) অকাল্টিজম যেভাবে সারা পৃথিবীতে সমাদৃত এরূপ ২য় দার্শনিক পাওয়া যায় না। তার মেটাফিজিক্সই আজকের ফিজিক্সের ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরির অনিবার্য ভবিষ্যৎ। তার ব্যপারে আর্টিকেলটির অর্ধেকটা প্রকাশ করতে পারলেও[১] পুরোটা এখনো শেষ করতে পারিনি। প্রায় ২৪০০ বছর আগে প্লেটো কাব্বালিস্টিক শাস্ত্র পাঠ করে একটি আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থার(প্লেট
নিক রিপাব্লিক) কথা উল্লেখ করেন। যে কিতাবে এ বিষয়ে বর্ননা করেন সেখানে সবার আগে কুফরি মেটাফিজিক্স(থিওরি অব ফর্ম),পুনর্জন্মবাদ ও আত্মার অমরত্বের(immortality of soul) ব্যপারে উল্লেখ করেন।তার বর্নিত পলিটিকাল থিওরিটি অনেকটা কম্যুনিজম ভিত্তিক টোটালেটেরিয়ান লাক্সারিয়াস ইউটোপিয়া। শাসক হবে চুজেন পিপলস যাদেরকে গার্ডিয়ান বলা হয়(ইহুদীরা?)। সেখানে একজন ফিলসফার রাজা থাকবেন। অঞ্চলগুলোকে বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করা হবে, সেখানে ধর্ম,বিয়েশাদি,পরিবার কোন কিছুই থাকবেনা। বংশবিস্তার পদ্ধতি স্টেট কর্তৃক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। নির্ধারনকৃত নির্দিষ্ট সময়ে শারীরিকভাবে সুস্থ ও বলিষ্ঠ নারী পুরুষদেরকে ইচ্ছেমত ফিজিক্যাল ইন্টিমেসির সুযোগ দেওয়া হবে। আর সন্তনদের কোন পিতৃপরিচয় থাকবে না। শারীরিক ত্রুটিপূর্ণ সন্তানদেরকে হত্যা করা হবে। সকল মানুষকে পেশা অনুযায়ী কতগুলো ভাগে বিভক্ত করা হবে। পেশাগত স্বাধীনতা থাকবে না। হিসেবে সাধারন মানুষগুলো অনেকটা ভেড়ার পালের মত দেখা হবে। তার এ বইয়ে চারটি অকেজো শাসন ব্যবস্থার নাম উল্লেখ করেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে গনতন্ত্র।[১১] গত দু হাজার বছর ধরে প্লেটোর এই পলিটিক্যাল থিওরি পাঠ করে যুগে যুগে বহু দার্শনিক, সমালোচক, সাহিত্যিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রোমাঞ্চিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের Earth summit এ ৪০ টি চ্যাপ্টারে বিভক্ত ৩৫০ টি পেইজের হলুদ রঙের একটা বই উপস্থাপন করে Agenda 21[২] নামে। এটা ইউএন এর Sustainable development এর এ্যাকশন প্ল্যান! এতে বর্ননা আছে কিভাবে পৃথিবীকে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, জনসংখ্যা সমস্যা,বৃক্ষনিধন নিরসন এবং উন্নত প্রযুক্তি, ক্লিন ও চিপ এনার্জি(ইলেক্ট্রিসিটি),শিক্ষা,নারী পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে একটা সাজানো গোছানো বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণ(শুনতে খুব ভাল মনে হচ্ছে, তাই না?) করা যায়। ইউএন ইহুদীদের কথিত মসীহের নেতৃত্বে ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট সৃষ্টির জন্য শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের এই সাস্টেইনেবিলিটির স্বরূপ বোঝা যায় ইউএন এর পরিবেশ সংক্রান্ত পরবর্তী অফিশিয়াল ডকুমেন্ট গুলোয়। এগুলোয় টোটালেটেরিয়ান টেকনোক্রেটিক ইউটোপিয়ার মহাপরিকল্পনা বিস্তারিত আছে। এরা সাস্টেইনেবল গৌলে পৌছতে জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনাও করেছে। বেশ কিছু ক্রিপি প্রোপাগান্ডা সর্ট ভিডিও নির্মান করেছে[৩]। এজন্য ভ্যাকসিন,ইউজেনিক্স, জিএমও ফুডের কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো ভ্যাকসিনকে স্বাস্থ্যরক্ষার বিশাল উপাদান বলে দেখি। আর জিএমও ফুডকে এখন পুষ্টি চাল নামে বাংলাদেশেই চলে এসেছে। অনেক পুষ্টি ওতে!!
হলিউডের ডিস্টোপিয়ান ফিল্ম Allegiant ভ্যাকসিনেশনের উদ্দেশ্যকে সুন্দরভাবে দেখিয়েছে। ওরা দরিদ্র একটা অঞ্চল থেকে বাচ্চাদেরকে কিডন্যাপ করত। স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলত। কিন্তু পরবর্তীতে আসল উদ্দেশ্য দেখায়, ভ্যাকসিন দিলে শিশুটা তার অতীতের স্মৃতি ভুলে যায় আর জন্তুজানোয়ারের মত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ওদের চিন্তাধারায় বড় করা যায়। UN এর প্রকাশিত আরেকটি বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে বিশ্ব ব্যবস্থার ধরন। তাতে বলা হয়, পৃথিবীর অধিকাংশ স্থলভাগই কোর উইল্ডারনেস এরিয়ায় পরিনত করা হবে। উত্তর আমেরিকার ৫০% অঞ্চলজুড়েই কৃত্রিম বনভূমি সৃষ্টি করা হবে। এভাবে পৃথিবীর সকল স্থলভাগ গুলোর অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে কৃত্রিম উপবন তৈরি করা হবে যেগুলো একটি অন্যটির সাথে কোরিডোর দ্বারা সংযুক্ত থাকবে। আর এর চারদিকে buffer Zone থাকবে, যেখানে বাচিয়ে রাখা অবশিষ্ট নির্বাচিত মানুষের নিয়ন্ত্রিত বসতির ব্যবস্থা করা হবে। বিস্তারিত দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=0d5H6-M1kx
২০১৫ সালে ১৭ টি লক্ষ্য তৈরি করে ইউএন 'এজেন্ডা ৩০'[২০] নামে আরেকটি প্রজেক্ট হাতে নেয়। এদের নিয়ন্ত্রনে বিশ্বের সকল দেশগুলোয় স্টেট ও ননস্টেট(এনজিও) অর্গানাইজেশন গুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ভিশন ২১ এর নাম শুনেছেন(?)।
১৭ জুলাই ২০১৬ সালে জ্যাক ফ্রেস্কো নামের এক বৃদ্ধ জাতিসংঘ থেকে এওয়ার্ড সম্মাননা লাভ করেন "ভেনাস প্রজেক্ট" নামের ইউটোপিয়ান ফিউচারিস্টিক লাক্সারিয়াস বিশ্বব্যবস্থার ডিজাইন করার জন্য।তাকে ইউনাইটেড ন্যাশনের জেনারেল এসেম্বলি হল থেকেই সম্মাননা দেওয়া হয়।সম্মেলনের নাম ছিল 'নোভাস'। শব্দটাকে ওরা ডলার বিলের উপরেও রাখে,সেটার অর্থও ইউটোপিয়ান স্বপ্ন কেন্দ্রিক।
গোটা বিশ্বকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির দ্বারা সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এ ট্রান্সফর্মেশনের পথ দেখানোর জন্য ফ্রেস্কোকে এওয়ার্ড দেওয়া হয়[৪]। জোসেফের এ ইউটোপিয়ান প্রকল্পটিকে Arthur C. clerk সাহেবও প্রশংসা করেন।
ভেনাস প্রজেক্টই হচ্ছে সেই স্বপ্নরাজ্যের ব্লু্প্রিন্ট। ফ্রেস্কো জীবনের প্রথম দিকে কম্যুনিস্ট ছিলেন। তার এ চিন্তাধারা আসে সেই জুডিও-ব্যবিলনিয়ান অপবিদ্যার ধারক প্লেটো। তার Beyond Utopia বইতে তিনি প্লেটোর রিপাবলিকের প্রশংসা করেন,এছাড়া কার্ল মার্ক্স,এইচ জি ওয়েলস, এমনকি ফ্রিম্যাসনারিরও প্রশংসা করতে দেখা যায়। তার এ প্রজেক্টটি জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর প্ল্যানকে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরে[৫]। তার সিটি ডিজাইনগুলো দেখলে হলিউডের তৈরি দ্যা গিভার, হাঙ্গার গেমস, ঈয়ন ফ্লাক্স, ইকুইলিব্রিয়াম,টুমোরোসল্যান্ড, ডাইভারজেন্ট, ইনসারজেন্ট ইত্যাদি অসংখ্য টেকনোক্রেটিক ইউটোপিয়ান ফিল্ম গুলোকে মনে পড়ে যাবে। নিচের ভেনাস প্রজেক্টের শহরের ডিজাইনের ছবিতে ইজরাইলের পতাকার কথিত স্টার অব ডেভিডের প্রতিকটা বেশ স্পষ্ট!
আপনার কখনো মনে হয়, কেন হলিউড এই ধরনের ইউটোপিয়ান/ডিস্টোপিয়ান থিম দিয়ে ফিল্ম তৈরি করে(?)।শুধুই আপনার কাছে ইবলিস অরিজিনেটেড অবিনশ্বর রাজ্যের কন্সেপ্টটিকে সহজ(নর্মালাইজ) করার জন্য। Aeon flux ফিল্মের অফিসিয়াল পোস্টারে Eye of providence এর ছবিটা অসাধারণ।
জ্যাক ফ্রেস্কোর সাথে ফ্রিম্যাসনিক নেটওয়ার্ক এর সম্পর্ক নিয়ে Ernst Fischer বলেনঃ "the Venus Project's "solution is Communism re-packaged to rope in the 21st century truth seeker." Here is a detailed comparison of the Zeitgeist philosophy and Communism.Fischer Continues: "Fresco spoke at the 10th anniversary of the UN's Earth charter last year and subsequently attended Mikael Gorbachevs congress, which you will find on
thevenusproject.com hidden away in the Netherlands section. Hell even if for some reason you think rubbing shoulders with those mid level elites is okay, what about frescos co-speaker Ervin Laszlo, (who he "spent time with") who FOUNDED the Club of Budapest, with Aurelio Peccei, founder of the CLUB OF ROME, full of lovely Illuminati globalists, who want a one world order, unified, worshiping the earth, under a new age religion. What about him being invited to dinner in the Dutch queen's palace? As in Queen Beatrix.... of Bilderberg.
Fresco, former member of the Communist party, wrote a book with Ken Keyes a while back. You don't just write a book with someone you barely know, so I might go so far as to say his good friend and colleague Keyes wrote a charming book called Planethood, go look it up. The book speaks not only of how the UN will fix the planet, but how they will install a One World Government "for the earth" Um, no thanks, what about the people? Or does Skynet just see us as more resources in the resource management program?"
এরপরে ২০০৭ সালে পিটার জোসেফ(ছদ্মনাম) নামের এক লোক হঠাৎ ইউটিউবে Zeitgeist addendum নামের ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রকাশ করে। এতে সকল কন্সপাইরেসি থিওরিস্টদের আকর্ষন করবার মত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ধর্মগুলোর ব্যপারে কম্যুনিস্টদের ধারনা প্রচার করতে গিয়ে বলে ঈসা(আ) বলে কেউ ছিলই না! সবই মানুষের মনগড়া মিথ! এরাও আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখাতে গিয়ে টেকনোলোজি বেজড আর্থ প্যারাডাইসের(টেকনোক্রেটিক ইউটোপিয়া) রূপরেখা উপস্থাপন করে। নানান যুক্তি দিয়ে ওদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাকে ম্যাগ্নিফাই করা হয়। ফিল্মটা ব্যাপক সাড়া ফেলে। সেটা লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে। সমর্থকদের নিয়ে পিটার জোসেফ zeitgeist movement নামের অর্গানাইজেশন তৈরি করে। এরপরে ২০১১ সাল পর্যন্ত মুভিং ফরওয়ার্ডসহ আরো একাধিক ফিল্ম তৈরি করে[১৩]। zeitgeist নামের অর্থটাও শয়তানী। জার্মান zeit= সময়, geist= ভূত/জ্বীন/শয়তান অর্থাৎ শয়তানের যুগ, সুন্দরভাবে বললে এজ অব স্পিরিট এন্টিটি। পিটার জোসেফ বলেন, “Zeitgeist is the activist arm of the Venus Project"। তার প্রব্লেম রিয়্যাকশন সল্যুশন দেওয়া ফিল্মে জ্যাক ফ্রেস্কোকেও সল্যুশন এর স্থানে নিয়ে আসেন। অর্থাৎ zeitgeist এর পিছনে ভেনাস প্রজেক্ট, আর ভেনাস প্রজেক্টের পিছনে ইউএন, ইউএন এর পিছনে ক্ষমতার হায়ারার্কির শীর্ষে দাজ্জাল-ইবলিস নিশ্চিতভাবে আছে। ভেনাস প্রজেক্ট আর zeitgeist মুভমেন্টই শেষ নয়। মিকাইল টেলিঙ্গারের উবুন্টু প্লানেট[১৪] এবং পরবর্তীতে আসা থ্রাইভ মুভমেন্টটাও এই অভিন্ন লক্ষ্যের প্রচারক। থ্রাইভ তো পুরোপুরি অকাল্ট সাইন্সের প্রচারক। সকল নিউএজ মিস্টিকদের প্রমোট করে। অকাল্ট বিদ্যা দ্বারা পৃথিবীকে আলোকিত(অন্ধকার) করার স্বপ্ন দেখে।এর ফেসবুক পেজের প্রোফাইল ছবিটার ডান চক্ষু ঢাকা[১৫]।অর্থাৎ ও একচোখওয়ালা আপকামিং তাগুতেরই প্রতিনিধি। এরা সকলেই টেকনোলোজি বেজড স্বর্গরাজ্য বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে। সেখানে মুদ্রা ব্যবস্থাকে রহিত করা হবে। তৈরি হবে রিসোর্স বেজড ইকোনমি। সবকিছুই হবে এডভান্স এআই ভিত্তিক। আর ট্র্যান্সহিউম্
যানিস্টিক প্রচেষ্টার দ্বারা অর্জন করা হবে বহু আকাঙ্ক্ষিত ইম্মর্টালিটি। অর্থাৎ শয়তানের শাস্ত্রের ট্রি অব লাইফের(কাব্বালা) অবিনশ্বর রাজত্ব এবং অমরত্ব উভয় প্রতিশ্রুতিই কাফিররা অর্জনের আশা করে। নিউটন বিফল হলেও এরা আজ বেশ আত্মবিশ্বাসী। আজকে ট্রানসহিউম্যানি
স্টিক এজেন্ডা খুবই সক্রিয়। হিউমেই, হিউম্যান ২.০ সহ অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সহিউম্যানিজমের সপক্ষে কাজ করছে। হলিউডও থেমে নেই। Beyond ফিল্মটিতে হিউম্যান ২.০ কে স্পেসে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে দেখিয়েছিল। ট্রান্সহিউম্যান[১২] হচ্ছে মানব শরীরের সাথে রোবটিক্স এর ইন্টিগ্রেশন,মানব ব্রেইনকে পুরোপুরি রোবটিক শরীরে প্রতিস্থাপন এমনকি Mind uploading এর দ্বারা মনকে ডিজিটাল ডিভাইসে আপলোড করা। ট্রান্সেন্ডেন্স ফিল্মে দেখেন নি(?), জনি ডিপ তার চেতনাকে কম্পিউটারে আপলোড করে কত কিছু করে! এখন পর্যন্ত বাস্তবজীবনে এ কাজে আংশিক সফল এবং অধিকাংশ চিন্তাই শুধুই সায়েন্স ফিকশন(পূর্ন সফলতা কখনোই আসবেনা)। এরপরেও ট্রান্সহিউম্যনি
স্ট অপবিজ্ঞানীরা খুব কনফিডেন্সের সাথেই অমরত্ব অর্জনের সম্ভাবনার কথা বলছেন। সেটা আবার বিবিসি প্রচার করছে। অথচ সামান্য কয়েক বছর আগে এসব শুধু কন্সপাইরেসি থিওরির আওতায় ছিল! দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=STsTUEOqP-g দেখলেন(?), সায়েন্টিস্টদের কাছে এজিং এবং ডেথ হচ্ছে একপ্রকার রোগ! এটার কিওর খুব শীঘ্রই পাবার আশা করেন।
2006 সালের Fountain নামের পুনর্জন্মবাদ কেন্দ্রিক শয়তানি ফিল্মটিতে নায়ক হিউ জ্যাকম্যান একই কথা বলে। ফিল্মটি শুরু হয় জেনেসিসের ৩:২৪ নম্বর ভার্স দেখিয়ে। মাথায় শিং ওয়ালা(symbolized Satan) এক লোককে দেখা যায় ধ্যানরত হিউ জ্যাকম্যানকে সিজদা করে। এরপরে আসমানে অর্গানিক স্পেস শীপে রওনা দেয় সাজারাতিল খুলদের সন্ধানে[৬]।
উইকিপিডিয়াতে আছে, In The Fountain, the Tree of Life was a central design and part of the film's three periods. The tree was based on Kabbalah's Sefirot, which depicts a "map" of creation to understand the nature of God (উইকিপিডিয়া) ট্র্যান্সহিউম্
যানিজম,সাইবর্গ এজেন্ডাকে বাহ্যিকভাবে সলিড ইনোসেন্ট সায়েন্স ও টেকনোলোজির কারসাজি মনে হলেও এগুলো সেই স্যাটানিক নস্টিক ডিরাইভড কন্সেপ্ট। আগের রাসায়নিক আলকেমিক্যাল প্রসেস ছেড়ে এই পদ্ধতিতে হাত বদল হয়েছে মাত্র। অনেক সেকুলার সমালোচক এটাকে নিও নস্টিসিজম(কাব্বালিস্টিক প্র্যাক্টিস) হিসেবে অভিহিত করেন[21]। এটা উইকিপিডিয়াতেও আছে।
Transhumanism and its presumed intellectual progenitors have also been described as neo-gnostic by non-Christian and secular commentators.[78][79] (উইকিপিডিয়া) এক ইহুদী কাব্বালিস্টকে দেখলাম মৃত্যুকে ট্রান্সেন্ড করে অমরত্বের শিক্ষা দিচ্ছে কাব্বালার রেফারেন্সে। শেষ দিকে অমরত্বের বাহ্যত প্রায়োগিক দিক বোঝাতে সে বলল, "আজকের (সুডো)সায়েন্স এই প্রিন্সিপ্যাল গুলো ধরেই আগাচ্ছে। আজ থেকে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিজ্ঞানীরা মৃত্যু এবং রোগকে অতিক্রম করতে পারবে। এ নিয়ে সামনের (কাব্বালিস্টিক এ্যানালোজির)পর্বে আরো গভীর আলোচনা হবে।" [৭] আপনারা কি মনে হয় Advance AI(artificial intelligence) এর গবেষণাগুলোতে ওদের কোন হাত নেই? AI কে স্বাধীন চেতনা দেওয়ার জন্য আজকে Science & NonDuality নাম দিয়েই বাতেনি শয়তানি বিদ্যাকে মেকানিক্যাল টেকনোলোজিতে রূপায়নের কাজ প্রকাশ্যেই চলছে। কর্মরত সায়েন্টিস্টগন সরাসরি নিজেদের মিস্টিক বলে পরিচয় দেন![২২]
কাব্বালাকে সায়েন্টিফিক ব্যপারগুলোর পাশে সংযোগ ঘটানোর দরুন রাগ করছেন নাকি আপনারা?! জানেন(?), কাব্বালিস্টিক শয়তানি বিদ্যাই হচ্ছে আজকের এস্ট্রোফিজিক্স,কস্মোলজি এবং বিজ্ঞান!! এটা আমি বলি নি, আপনাদের প্রিয় বিজ্ঞানীদের মুখে শুনেছি।পাশে ওয়ার্ল্ড কাব্বালা একাডেমির চেয়্যারম্যান র্যাবাই লেইটম্যানও বলছেন "এই বিদ্যার উৎস প্রাচীন ব্যবিলন,আর এটা খুবই শক্ত বিজ্ঞান"!!
ইহুদীদের অনুসৃত এই শাস্ত্রটি কি তা আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতেই বলে দিয়েছেনঃ "তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত।..."
দুনিয়ায় সেই সুস্পষ্ট শয়তানি বিদ্যাকে জেনেবুঝে একমাত্র কাফির যাদুকর এবং তাদের দর্শনে(ওয়ার্ল্ডভিউ) বিশ্বাসী ছাড়া আর কেউই গ্রহন করে না। সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত। আপনার কি মনে হয়, জ্যাক ফ্রেস্কো, মিকাঈল টেলিঙ্গার, পিটার জোসেফেরা নিজেরাই হঠাৎ করে এসকল আইডিয়া প্রজেক্ট করছে আর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে, এমনিতেই বড় বড় মুভমেন্ট তৈরি হয়ে যাচ্ছে?! একদমই না, এদের পিছনেও গ্লোবাল গভার্মেন্ট, এজেন্ডা২১,৩০ রয়েছে। ওরাই এদেরকে ব্যবহার করছে মিডিয়া হিসেবে এবং বিষয় গুলোকে জনসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্য করবার জন্য। এই লোকগুলো প্রত্যেকেই টোটালেটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্টের স্বপ্ন দেখে। যেখানে Religion কে উৎখাত করা হবে উবুন্টুর(ইউনাইট
িং হিউম্যানিটি) জন্য। অন্য দিকে প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটিকে প্রোমোট করবে। ওদের পরিকল্পনা- এই স্বর্গরাজ্যের রাজা করা হবে কাব্বালিস্ট ইহুদীদের প্রতীক্ষিত ভন্ড মসীহকে। ওদের স্বপ্ন, সেখানে কাব্বালিস্টিক ট্রি অব লাইফের বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে সর্সারিকে মেকানিক্যাল পর্যায়ে(টেকনোলোজি) নিয়ে প্রয়োগ(ট্রান্সহিউম্যান) করে অনন্ত জীবন লাভ করবে। সেই ব্যবিলনিয়ান কবি গিলগেমিশের মহাকাব্যের নায়কের অনন্ত জীবনের খোজা থেকে ২০০৬ এর দ্যা ফাউন্টেন ফিল্ম। এ সব চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে ইবলিস। সে এখন এ অনুযায়ী কাজও করাচ্ছে অনুসারীদের দিয়ে। একদল লোকতো অমরত্বের আশায় নিজেদের শরীরকে সেচ্ছায় নাইট্রোজেন গ্যাসে ফ্রিজড অবস্থায় রাখছে[১৬]। ওরা আশা করে কোন একদিন তাদের মৃতদেহকে কেউ জাগিয়ে তুলতে পারবে। ইবলিস প্রদত্ত অপবিদ্যার(নস্টিসিজম/কাব্বালা) আনএ্যাপোলোজেটিক অনুসারীদেরকে ইবলিস আজ আরো বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যারাই (রূপকার্থে) কাব্বালিস্টিক ট্রি অব লাইফের ফল(অপবিদ্যা) খাবে, তাদেরকে খুব দ্রুত এঞ্জেলিক লাইট বিং এ ফিজিক্যালি ট্রান্সফর্ম হয়ে উচ্চতর ডাইমেনশনের রিয়ালিটিতে শিফট করবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সে স্বর্গরাজ্যে তারা অনন্তকাল থাকবে। এই একই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শয়তান আমাদের পিতামাতাকেও(আ) দিয়েছিল। আজকে বলা হচ্ছে সেই ইটারনাল লাইফ ও ইউটোপিয়ান কিংডমে শিফট হবার মাহেন্দ্রক্ষণ খুব নিকটে। খুব শীঘ্রই 5D এর নতুন পার্থিব স্বর্গে Ascend করার সময় আসছে। এজন্য স্বাম্ভালার রাজা আসছেন যার জন্য অনেকে হাতের রক্ত কাগজে ফেলে শপথও করছে অনেকে[১৭]। উনিই হয়ত অনুসারীদেরকে স্বর্গে প্রবেশ করাবেন। ওদের মতে আমরা আছি 3D তে। চতুর্থ মাত্রা হচ্ছে সময়। ওরা এরকমও বলে থাকে কাব্বালিস্টিক ও তান্ত্রিক বিদ্যার অনুসরনে আপনিও আত্নউন্নয়নের দ্বারা evolve হতে হতে উচ্চতর ডাইমেনশনে ফিজিক্যাল পরিবর্তনসহ ascend করতে পারবেন! আপনি ইউটিউব বা গুগলে 5D new earth ascension লিখে সার্চ দিলে হাজারো ডকুমেন্ট পাবেন। কাব্বালিস্টিক মিস্টিসিজমের অনুসারী প্যাগান স্পিরিচুয়ালিস্টরা এখন প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। ওদের অনেকে বলছে তাদের অনেকে নাকি ৫ডি তে স্বপ্নে ভ্রমন করেও এসেছে। অনেকে সাইকাডেলিক ড্রাগ নিয়ে সেই (শয়তানের) জগৎ দিয়ে ঘুরে আসে। সাম্বালার রাজা কল্কি অবতার খুব নিকটে। ওনাকে Lord Melchizedek নামেও ডাকা হয়।উনি নাকি আসমান জমিন,আলোর জগতের প্রভু! দাঊদ আলাইহিসালাম এর বংশের বলে ওরা দাবি করে[১৮]। ইহুদীরা তো Davidic king এরই প্রতীক্ষায়...।[১৯] তাগুত দাজ্জালের কথা কি মনে আছে(?), সে হাতে জান্নাত জাহান্নাম দেখিয়ে তাতে লোকেদের আহব্বান করবে? আমরা নিশ্চিত জানি না, এটাই কি দাজ্জালের দেখানো জান্নাত কিনা। কিন্তু সেটার সাথে অনেক সাদৃশ্যতা রয়েছে। তবে এতটুকুন নিশ্চিত যে এটা ইবলিসেরই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। ইবলিস আদম-হাওয়া(আ) দেরকে ট্রি অব লাইফের দিকে হাতছানি দিয়ে ডেকে সত্যিকারের জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছিল। আজ তাদের সন্তানদেরকেও একইভাবে ট্রি অব লাইফের দিকে ডেকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের দিকে ডাকছে।
আমরা Tree of life এর দিকে শয়তানের (UN কর্তৃক) ম্যাটেরিয়াল ও (অকাল্ট ফিলসফিক্যাল)স্পিরিচুয়াল আহব্বানের উভয় প্রচেষ্টা কে দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মুসলিমদেরকে তার প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সাহাবীগন(রাযিঃ) ও তাদের পরবর্তীতে লম্বা একটা সময় পর্যন্ত সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করা হয়। কিন্তু আজ? আজকে একদমই উলটো চিত্র। আজকে উম্মাহকে নিশ্চিহ্ন করার মিশনে কাফিররা থাকলেও,মুসলিমদের ভূমির যে অংশ এখনো আক্রান্ত হয়নি সে অংশের মুসলিমরা বড্ড নিশ্চিন্ত। যেন কিছুই হয় নি। ভাবখানা এমন যেন ভবিষ্যতেও তাদের কিছুই হবে না। সবাই দুনিয়াবি ক্যারিয়ার গড়ায় ব্যস্ত। আজকে অধিকাংশ আলিম সমাজও কেমন যেন কাফিরদের সাথে আপোষ করে চলতে আগ্রহী। এদের কেউ কেউ আবার কথিত সহীহ আকিদা প্রচার করে। কাফিরদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তারা এত রাগান্বিত হন যে, তাদের থেকে খাওয়ারিজ ঘোষনা শোনা যায়! এত কিছুর পরেও কাফিরদের এসব হীন প্রচেষ্টাকে একদল মানুষ কোনভাবে মান্য করে না। এরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কর্তৃক নির্বাচিত বান্দা। শয়তানের এজেন্ডাগুলোর তাদের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এরা এমনকি এসকল তাগুত এজেন্ট - শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়, এমনকি যুদ্ধ করে,মারে এবং মরে। এদেরকে সে মহাপরিকল্পনাকারী এজেন্ডা এবং সেটাকে বাস্তবায়নে সহায়ক সকল অনুচরবৃন্দ পথভ্রষ্ট(Divergent) মনে করে। হলিউড তো ডাইভারজেন্ট নামের ডিস্টোপিয়ান ফিল্মও তৈরি করেছে। বাস্তবিকভাবেও 'তাগুতের দৃষ্টিতে' ডাইভারজেন্টরা বাহ্যত সরল সোজা মনে হলেও,আদৌ নিয়ন্ত্রণযোগ্য না। আজ ওরা তাদেরকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি শব্দে আখ্যায়িত করে জিরো টলারেন্সের আওতায় রাখে। যখনই তাদেরকে হাতের নাগালে পায়, ক্রসফায়ারে হত্যা ছাড়া ভিন্ন কিছু সহজে ভাবে না। কারন ওদের অনেকে ভাল করেই জানে তারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সৈনিক। এরাও টোটারেটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্টের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেটা হবে খিলাফা আ'লা মিনহাজিন নাব্যুওয়াহ। সেটা হবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার নির্দেশিত শরী'আর শাসন। সুতরাং, সুনিশ্চিত সম্ভাবনা থাকেই যে, কথিত পথভ্রষ্ট সন্ত্রাসী জঙ্গিরা সবার প্রথমে ইবলিসের ট্রি অব লাইফের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিদেরকে সমূলে উৎপাটন করবে। এজন্য পথের কাঁটা কোন ক্রমেই বাচিয়ে রাখা যায় না। এদেরকে বাধা দেওয়ার জন্য দ্বীনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনকারী মোডারেট ও নিও মুতাযিলা আলিমও তৈরি করে নিচ্ছে। সুবহানআল্লাহ!! কাফিরগোষ্ঠীর প্রস্তুতকৃত এই আলিমদের এজেন্ট আমাদের দেশে মহাসম্মানজনক নাম দিয়ে দল তৈরি করে প্রচারকার্য চালাচ্ছে। সেটাই নাকি আজ সহীহ আকিদা! মা'আযাল্লাহ!!
এরা আজ সেসকল কথিত সন্ত্রাসীদেরকে খারেজি বলে ডাকে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ তারা এই তিরস্কারকারীর তিরস্কারের পরোয়া করে না।
তারা আল্লাহর বানীকে স্মরণ করেঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻣَﻦ ﻳَﺮْﺗَﺪَّ ﻣِﻨﻜُﻢْ ﻋَﻦ ﺩِﻳﻨِﻪِ ﻓَﺴَﻮْﻑَ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻳُﺤِﺒُّﻬُﻢْ ﻭَﻳُﺤِﺒُّﻮﻧَﻪُ ﺃَﺫِﻟَّﺔٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﺃَﻋِﺰَّﺓٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ ﻳُﺠَﺎﻫِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻻَ ﻳَﺨَﺎﻓُﻮﻥَ ﻟَﻮْﻣَﺔَ ﻵﺋِﻢٍ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻀْﻞُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻳُﺆْﺗِﻴﻪِ ﻣَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﺍﺳِﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
''হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
(সূরা মায়িদাহঃ৫৪)
তারা আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা কখনোই সমগ্র জমিনে শয়তানের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা হতে দেবে না। নিশ্চয়ই শয়তানের পরিকল্পনা একান্তই দুর্বল। তারা সর্বদা আল্লাহর এক মহা আদেশকে স্মরণ করেঃ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻓَﻘَﺎﺗِﻠُﻮﺍْ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺇِﻥَّ ﻛَﻴْﺪَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻛَﺎﻥَ ﺿَﻌِﻴﻔًﺎ '
'যারা ঈমানদার তারা যে, যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা যুদ্ধ করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা যুদ্ধ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল''। [আন নিসাঃ৭৬]
ﻭَﻗَﺎﺗِﻠُﻮﻫُﻢْ ﺣَﺘَّﻰ ﻻَ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﻓِﺘْﻨَﺔٌ ﻭَﻳَﻜُﻮﻥَ ﺍﻟﺪِّﻳﻦُ ﻛُﻠُّﻪُ ﻟِﻠّﻪ ﻓَﺈِﻥِ ﺍﻧﺘَﻬَﻮْﺍْ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺑَﺼِﻴﺮٌ
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন। [আল আনফালঃ৩৯]
নিশ্চয়ই শয়তান মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়।তার সমস্ত আশ্বাস প্রতারণা বৈ কিছু নয়।একমাত্র আল্লাহর ওয়াদাই সত্য। আল্লাহ বলেনঃ
ﻳَﻌِﺪُﻫُﻢْ ﻭَﻳُﻤَﻨِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﻌِﺪُﻫُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺇِﻻَّ ﻏُﺮُﻭﺭًﺍ
সে(শয়তান) তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব প্রতারণা বৈ নয়।[নিসা ১২০]
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻟَﻤَّﺎ ﻗُﻀِﻲَ ﺍﻷَﻣْﺮُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﻋَﺪَﻛُﻢْ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻭَﻋَﺪﺗُّﻜُﻢْ ﻓَﺄَﺧْﻠَﻔْﺘُﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻲَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺳُﻠْﻄَﺎﻥٍ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺩَﻋَﻮْﺗُﻜُﻢْ ﻓَﺎﺳْﺘَﺠَﺒْﺘُﻢْ ﻟِﻲ ﻓَﻼَ ﺗَﻠُﻮﻣُﻮﻧِﻲ ﻭَﻟُﻮﻣُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺃَﻧَﺎْ ﺑِﻤُﺼْﺮِﺧِﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﺑِﻤُﺼْﺮِﺧِﻲَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻛَﻔَﺮْﺕُ ﺑِﻤَﺂ ﺃَﺷْﺮَﻛْﺘُﻤُﻮﻥِ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ
যখন সব কাজের ফায়সলা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবেঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে সত্য ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং আমি তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছি, অতঃপর তা ভঙ্গ করেছি। তোমাদের উপর তো আমার কোন ক্ষমতা ছিল না, কিন্তু এতটুকু যে, আমি তোমাদেরকে ডেকেছি, অতঃপর তোমরা আমার কথা মেনে নিয়েছ। অতএব তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করো না এবং নিজেদেরকেই ভৎর্সনা কর। আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্যকারী নই। এবং তোমরাও আমার উদ্ধারে সাহায্যকারী নও। ইতোপূর্বে তোমরা আমাকে যে আল্লাহর শরীক করেছিলে, আমি তা অস্বীকার করি। নিশ্চয় যারা জালেম তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।[১৪:২২]
No comments