হোসেন কোরআনীর মুখোশ উম্মোচন/// পর্ব 2/// মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট নাকি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য
হোসেন কোরআনীর মুখোশ উম্মোচন। 2য় পর্ব । অতি সাম্প্রতিক একজন ধর্ম প্রচারকারী, যিনি নিজেকে সবচাইতে বেশি জানেন বলে দাবি করেন। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি একশত পঞ্চাশ বছর বাঁচবেন তার এই দাবি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
প্রথম পর্বের আলোচনার পর আজকে আমরা দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা করব দ্বিতীয় পর্বের আলোচ্য বিষয় হল মানুষের হায়াত কি নির্দিষ্ট নাকি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য?
04: মানুষের হায়াত কি নির্দিষ্ট নাকি অনির্দিষ্টঃ
মানুষের হায়াত সুনির্দিষ্ট। মানুষের সৃষ্টির বহু পূর্বে মানুষের তাকদীর লিপিবদ্ধ বদ্ধ করা হয়েছিল। যা আমরা করআন ও হাদিস থেকে জানতে পরি। যদি মানুষের তাকদীর লিপিবদ্ধ হয়, তবে অবশ্যই হায়াত ও নির্দিষ্ট। কারণ হায়াত তাকদীরের মধ্যে পড়ে। আসুন আমরা প্রথম মানুষের হায়াত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের নিদর্শন গুলো দেখি।
মানুষের হায়াত যে সুনির্দিষ্ট এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াত রহিয়াছে। এটি একটি গায়েবের বিষয়, শুধু গায়েবের বিষয় বল্লেন ভুল হবে, বরং তা হল "মাফাতিহুল গায়েবের বিষয়। যা একমাত্র মহান আল্লাহর জ্ঞানে সীমাবদ্ধ। মানুষের হায়াত মাফাতিহুল গায়েবের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। যেমন টি মহান আল্লাহ সুবহানুহু ওয়াতায়ালা বলেনঃ
ক, মাফাতিহুল গায়েবের বিষয়ঃ
মানুষের হায়াত একটি মাফাতিহুল গায়েবের অন্তর্ভুক্ত বিষয়, যা মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার জ্ঞানের সীমাবদ্ধ। যা কোরআন ও সুন্নাহ থেকে আমরা জানতে পারি থেকে আমরা জানতে পারি।
وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِى ظُلُمَٰتِ ٱلْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِى كِتَٰبٍ مُّبِينٍ
অদৃশ্য জগতের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে; তিনি ছাড়া আর কেহই তা জ্ঞাত নয়। পৃথিবীতে ও সমুদ্রের সব কিছুই তিনি অবগত আছেন, তাঁর অবগতি ব্যতীত বৃক্ষ হতে একটি পাতাও ঝরে পড়েনা এবং ভূ-পৃষ্ঠের অন্ধকারের মধ্যে একটি দানাও পতিত হয়না, এমনিভাবে কোন সরস ও নিরস বস্তুও পতিত হয়না; সমস্ত কিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ( সূরা আনআম-6:59 )
এইখানে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, মাফাতিহুল গায়েব বা অদৃশ্য জগতের তথা গায়েবের জ্ঞান এর চাবিকাঠি একমাত্র আল্লাহর নিকট। তিনি ছাড়া এই বিষয়ে কেউ জানেন না। আর মাফাতিহুল গায়েবের বিষয় গুলো কি কি? এই সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে সূরা লোকমান মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ
إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ ٱلْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلْأَرْحَامِۖ وَمَا تَدْرِى نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًاۖ وَمَا تَدْرِى نَفْسٌۢ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌۢ
নিশ্চয় আল্লাহ্ [১], তাঁর কাছেই রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা মাতৃগর্ভে আছে। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। ( সূরা লোকমান 31:34 )
উক্ত আয়াতে আলোচিত বিষয় কে মাফাতিহুল গায়েব বলা হয় কেননা এই বিষয়ে মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা ছাড়া আর কেউ জানে না আর কেউ জানেনা এটা মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার পূর্ববর্তী আয়াতে অর্থাৎ সূরা আনআমের 59 নাম্বার আয়াতে বলেছেন,
وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ
"অদৃশ্য জগতের চাবিকাঠি রয়েছে আল্লাহর নিকট তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না এর কোন একটি ও।" ( সূরা আনআম-6:59 )
আর এই মাফাতিহুল গায়ক হলো পাঁচটি জা সূরা লোকমানের 34 নম্বর আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছে তা হলো
01, কেয়ামতের জ্ঞান তথা কিয়ামত কখন হবে এটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
02, বৃষ্টি কখন হবে এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না
03, মাতৃগর্ভে কি আছে তুমি তা জানেন। এর দুটি ব্যাখ্যা হতে পারে, প্রথমটি হলো সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো নেককার নাকি বদকার হবে।
04: আগামীকাল মানুষ কি উপার্জন করবে। এরো দুটি ব্যাখ্যা হতে পারে, এক নাম্বার হলো সে কি উপার্জন করবে তা। আর দ্বিতীয়টি হলো সে জান্নাত কামাই করবে না জাহান্নাম কামাই করবে।
05: মানুষ কোন জমিনে মৃত্যুবরণ করবে।
এই কথার জন্য অর্থাৎ পঞ্চম পয়েন্টের জন্য আমরা সূরা আনআমের 59 নম্বর এবং সূরা লোকমানের 34 নম্বর আয়াত নিয়ে এসেছি। সূরা আনআম 59 নাম্বার আয়াতে আল্লাহতালা বলছেন "মাফাতিহুল গায়েব" যা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহ তা'আলা জানেন, আর সূরা লোকমান 34 নাম্বার আয়াতে "মাফাতিহুল গায়েবের" বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আল্লাহতালা বললেন না, মানুষ কখন মৃত্যুবরণ করবে বরং তিনি বললেন মানুষ কোন জমিনে মৃত্যুবরণ করবে এই জন্যই কথাটা বললেন। যেহেতু যদি বলা হতো মানুষ কখন মারা যাবে তখন স্থানটা এটা সম্পৃক্ত হতো না। যখন স্থানটা নির্দিষ্ট করা হয়, তখন ক্ষনটা নির্দিষ্ট করা সহজ। তাই তিনি শুধুমাত্র সময় প্রতি ইঙ্গিত না করে বরং স্থান কেও নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
সুতরাং উক্ত আয়াত থেকে আমরা যা বুঝতে পারি তা হল মানুষ কখন এবং কোথায় মারা যাবে তা আল্লাহর জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এটা মাফাতিহুল রায়ের অন্তর্ভুক্ত বিষয় এ বিষয়ে মহান আল্লাহতালা কাউকে অভিহিত করেন নাই। এই কথার প্রতি আল্লাহতালা ইঙ্গিত করে সূরা আনআমের 59 নাম্বার আয়াতে বলেন তিনি ছাড়া কেউ জানে না এই বিষয়ে। বলা হয়েছে,
لايعلمها الاهوا
অর্থাৎঃ তিনি ব্যতীত কেউ জানে না এই সম্পর্কে। ( সূরা আনআমের 6:59 )
এখন যদি কেউ দাবি করেন তিনি জানেন তাহলে তিনি আল্লাহ পাকের উপর মিথ্যা আরোপ করেছেন। কেননা আল্লাহ বলেছেন, কেউ জানে না তিনি ছাড়া তথা আল্লাহ ছাড়া। কিন্তু যিনি এই সম্পর্কে জানার দাবী করেছেন, তিনিই আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা আরোপ করছেন। কেননা তিনি নিজে "মাফাতিহুল গায়েব" জানার দাবী করেছেন।
খঃ, যাদের মৃত্যুর সময় আসেনি, নিদ্রার পর তাদের প্রাণ ফেরত।
মানুষের মৃত্যু যে সুনির্ধারিত অর্থাৎ মানুষের হায়াত যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা আল্লাহতালা পূর্ব থেকে নির্ধারিত করে রেখেছেন। নির্দিষ্ট সময় আসার পূর্বে যে, কারো মৃত্যু হয় না। তা পবিত্র কোরআনের আয়াত প্রমাণ করে যেমনটি আল্লাহতালা বলেছেনঃ
وَ ہُوَ الَّذِیۡ یَتَوَفّٰىکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ یَعۡلَمُ مَا جَرَحۡتُمۡ بِالنَّہَارِ ثُمَّ یَبۡعَثُکُمۡ فِیۡہِ لِیُقۡضٰۤی اَجَلٌ مُّسَمًّی ۚ ثُمَّ اِلَیۡہِ مَرۡجِعُکُمۡ ثُمَّ یُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿٪۶۰﴾
আর তিনিই রাতে তোমাদেরকে মৃত্যু দেন এবং দিনে তোমরা যা কামাই কর তিনি তা জানেন। তারপর তিনি তোমাদেরকে দিনে পুনরায় জাগিয়ে তুলেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করা হয়। তারপর তাঁর দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তারপর তোমরা যা করতে তিনি তোমাদেরকে সে বিষয়ে অবহিত করবেন। ( সূরা আল-আন'আম-60 )
ٱللَّهُ يَتَوَفَّى ٱلْأَنفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَٱلَّتِى لَمْ تَمُتْ فِى مَنَامِهَاۖ فَيُمْسِكُ ٱلَّتِى قَضَىٰ عَلَيْهَا ٱلْمَوْتَ وَيُرْسِلُ ٱلْأُخْرَىٰٓ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّىۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
আল্লাহই প্রাণ হরণ করেন জীবসমূহের, তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসেনি তাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। অতঃপর যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অপরগুলি ফিরিয়ে দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। ( সূরা-আঝ ঝুমার-39:42)
প্রথম আয়াতে বলা হয়েছেঃ
ثُمَّ یَبۡعَثُکُمۡ فِیۡہِ لِیُقۡضٰۤی اَجَلٌ مُّسَمًّی
"তারপর তিনি তোমাদেরকে দিনে পুনরায় জাগিয়ে তুলেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করা হয়। ( সূরা আনআম-60 )"
দ্বিতীয়ত আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَيُرْسِلُ ٱلْأُخْرَىٰٓ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّىۚ
"অপরগুলি ফিরিয়ে দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।" ( সূরা-আঝ ঝুমার-39:42)
অত্র আয়াত গুলিতে মহান আল্লাহতালা বলছেন, ঘুমানোর সময় প্রাণ হরণ করেন। সকল প্রাণীকুলের। অতঃপর তিনি যাদের মৃত্যু আসেনি, তাদের প্রাণ বা জীবনকে ফিরিয়ে দেন, যাতে তোমরা নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণ করতে পারো। তার মানে হলো, আমাদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট সময়। অর্থাৎঃ আমাদের হায়াত নির্দিষ্ট।
গ: হায়াত নির্দিষ্টঃ
মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে কারো মৃত্যু হয়না। নির্দিষ্ট সময় পার করার পর মৃত্যু হয়। যা সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা। মানে লাউহে মাহফুজে সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে। যেমন টি মহান আল্লাহ বলেছেন।
وَ ہُوَ الۡقَاہِرُ فَوۡقَ عِبَادِہٖ وَ یُرۡسِلُ عَلَیۡکُمۡ حَفَظَۃً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ تَوَفَّتۡہُ رُسُلُنَا وَ ہُمۡ لَا یُفَرِّطُوۡنَ ﴿۶۱﴾
আর তিনিই নিজ বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান এবং তোমাদের উপর প্রেরণ করেন হিফাযতকারীদেরকে। অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না। ( সূরা ৬. আল-আন'আম আয়াত নং ৬১)
وَرَبُّكَ ٱلْغَفُورُ ذُو ٱلرَّحْمَةِۖ لَوْ يُؤَاخِذُهُم بِمَا كَسَبُوا۟ لَعَجَّلَ لَهُمُ ٱلْعَذَابَۚ بَل لَّهُم مَّوْعِدٌ لَّن يَجِدُوا۟ مِن دُونِهِۦ مَوْئِلًا
এবং তোমার রাব্ব ক্ষমাশীল, দয়াবান। তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিতে চাইলে তিনি তাদের শাস্তি ত্বরান্বিত করতেন; কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে এক প্রতিশ্রুত মুহুর্ত, যা হতে তাদের পরিত্রাণ নেই। ( সূরা-আল-কাহাফ- 18:58)
وَتِلْكَ ٱلْقُرَىٰٓ أَهْلَكْنَٰهُمْ لَمَّا ظَلَمُوا۟ وَجَعَلْنَا لِمَهْلِكِهِم مَّوْعِدًا
ঐ সব জনপদ - তাদের অধিবাসীবৃন্দকে আমি ধ্বংস করেছিলাম যখন তারা সীমা লংঘন করেছিল এবং তাদের ধ্বংসের জন্য আমি স্থির করেছিলাম এক নির্দিষ্ট ক্ষণ। ( সূরা-আল-কাহাফ- 18:59 )
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ كِتَٰبًا مُّؤَجَّلًاۗ وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ ٱلدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ ٱلْءَاخِرَةِ نُؤْتِهِۦ مِنْهَاۚ وَسَنَجْزِى ٱلشَّٰكِرِينَ
আর আল্লাহর আদেশে লিপিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত কেহই মৃত্যুমুখে পতিত হয়না; এবং যে কেহ ইহলোকের প্রতিদান কামনা করে, আমি তাকে তা দুনিয়ায় প্রদান করে থাকি; পক্ষান্তরে যে লোক আখিরাতে বিনিময় কামনা করে আমি তাকে তা প্রদান করব এবং আমি কৃতজ্ঞগণকে অচিরেই পুরস্কার প্রদান করব । ( সূরা-আল-ইমরান-3:145)
প্রথম আয়াতে বলা হয়েছেঃ
حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ تَوَفَّتۡہُ رُسُلُنَا وَ ہُمۡ لَا یُفَرِّطُوۡنَ
যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না। ( সূরা ৬. আল-আন'আম আয়াত নং ৬১)
অর্থাৎ নির্ধারিত সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন প্রাণ হরণকারী ফেরেশতাদের পাঠানো হয়। কোন ত্রুটি ছাড়াই কার্য সম্পদন করে। অর্থাৎ প্রাণ হরণে দেরি করেনা।
দ্বিতীয়ত আয়াতে বলা হয়েছেঃ
بَل لَّهُم مَّوْعِدٌ لَّن يَجِدُوا۟ مِن دُونِهِۦ مَوْئِلًا
কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে এক প্রতিশ্রুত মুহুর্ত, যা হতে তাদের পরিত্রাণ নেই। ( সূরা-আল-কাহাফ- 18:58)
তৃতীয়ত আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَجَعَلْنَا لِمَهْلِكِهِم مَّوْعِدًا
এবং তাদের ধ্বংসের জন্য আমি স্থির করেছিলাম এক নির্দিষ্ট ক্ষণ। ( সূরা-আল-কাহাফ- 18:59 )
সূরা আল-কাহাফের-58 নং আয়াতে বলাহয়েছে, "এক প্রতিশ্রুত মুহুর্ত, যা থেকে পরিত্রাণ নেই।" একই সূরার পরের আয়াতে বলাহয়েছে, "তাদের ধ্বংসের জন্য আমি স্থির করেছিলাম এক নির্দিষ্ট ক্ষণ।" এই থেকে স্পষ্ট হয় যে, মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট ও কি ভাবে মৃত্যু হবে তাও স্পষ্ট। তাই বলাহয়েছে, প্রতিশ্রুত মুহুর্ত। মানুষের জীবনের ঘটিত, ঘটমান ও ঘটবে সকল ঘটনা, পূর্ব থেকেই লিপিবদ্ধ। একে তাকদীর বলা হয়। যা লাওহে মাহুফুজে সুরক্ষিত পলকে মহান আল্লাহর সৃষ্টির সূচনাতে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। যেমন আল্লাহ বলেছেনঃ
إِنَّا نَحْنُ نُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا۟ وَءَاثَٰرَهُمْۚ وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَٰهُ فِىٓ إِمَامٍ مُّبِينٍ
আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। ( সূরা ইয়াসীন-36:12 )
চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ كِتَٰبًا مُّؤَجَّلًاۗ
আর আল্লাহর আদেশে লিপিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত কেহই মৃত্যুমুখে পতিত হয়না; ( সূরা-আল-ইমরান-3:145 )
সর্বশেষ আরো স্পষ্ট করে বলেছেন, "আল্লাহর আদেশে লিপিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত কেহই মৃত্যুমুখে পতিত হয়না।" সুতরাং মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত সময়ে এবং পদ্ধতি ছাড়া মৃত্যুবরণ করতে পারে না। মহাবিশ্বের তকদির মহান আল্লাহতালা বহু পূর্বেই লিখে রেখেছেন। যেমনটি তিনি বলছেন।
পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَٰهُ فِىٓ إِمَامٍ مُّبِينٍ
আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। ( সূরা ইয়াসীন-36:12 )
উপরোক্ত সকল আয়াত ও দলিল প্রমাণ করে যে মানুষের হায়াত সুনির্দিষ্ট নির্ধারিত সময় আসার পূর্বে কোন মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে না মানুষের জীবনে ঘটছে ঘটবে ঘটেছিল সকল বিষয়ে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলা লাওহে মাহফুজে সুরক্ষিত ফলকে রেখে দিয়েছেন এমনকি আমরা হাদিস থেকে জানতে পারবো।
05: সুন্নাহ থেকে প্রমাণঃ মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট।
কঃ, তাকদীর লিপিবদ্ধঃ
মহাবিশ্বের সৃষ্টির সূচনা এতই মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার আরশ এবং পানি তৈরি করার পর, মহাবিশ্বের সৃষ্টির পূর্বে মহাবিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিলেন। জ্বালাও হয়ে মাহফুজে সুরক্ষিত পলকে আছে। যেমনটি মুহাম্মদ সঃ আলাইহি এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)
হাদিস নম্বরঃ ৩১৯১
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ شَدَّادٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَقَلْتُ نَاقَتِيْ بِالْبَابِ فَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ بَنِيْ تَمِيْمٍ فَقَالَ اقْبَلُوْا الْبُشْرَى يَا بَنِيْ تَمِيْمٍ قَالُوْا قَدْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا مَرَّتَيْنِ ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اقْبَلُوْا الْبُشْرَى يَا أَهْلَ الْيَمَنِ إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُوْ تَمِيْمٍ قَالُوْا قَدْ قَبِلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالُوْا جِئْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ هَذَا الأَمْرِ قَالَ كَانَ اللهُ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ غَيْرُهُ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَكَتَبَ فِي الذِّكْرِ كُلَّ شَيْءٍ وَخَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَنَادَى مُنَادٍ ذَهَبَتْ نَاقَتُكَ يَا ابْنَ الْحُصَيْنِ فَانْطَلَقْتُ فَإِذَا هِيَ يَقْطَعُ دُوْنَهَا السَّرَابُ فَوَاللهِ لَوَدِدْتُ أَنِّيْ كُنْتُ تَرَكْتُهَا
৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)
৩১৯১. ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার উটনীটি দরজার সঙ্গে বেঁধে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর নিকট তামীম সম্প্রদায়ের কিছু লোক এল। তিনি বললেন, হে তামীম সম্প্রদায়! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। উত্তরে তারা বলল, আপনি তো আমাদের সুসংবাদ দিয়েছেন, এবার আমাদেরকে কিছু দান করুন। একথা দু’বার বলল। অতঃপর তাঁর নিকট ইয়ামানের কিছু লোক আসল। তিনি তাদের বললেন, হে ইয়ামানবাসী! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কারণ বানূ তামীম তা গ্রহণ করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তা গ্রহণ করলাম। তারা আরো বলল, আমরা দ্বীন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য আপনার খেদমতে এসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, একমাত্র আল্লাহই ছিলেন, আর তিনি ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না। তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে। অতঃপর তিনি লাওহে মাহফুজে সব কিছু লিপিবদ্ধ করলেন এবং আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এ সময় একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করল, হে ইবনু হুসাইন! আপনার উটনী পালিয়ে গেছে। তখন আমি এর খোঁজে চলে গেলাম। দেখলাম তা এত দূরে চলে গেছে যে, তার এবং আমার মধ্যে মরীচিকাময় ময়দান দূরত্ব হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কসম! আমি তখন উটনীটিকে একেবারে ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা করলাম। (৩১৯০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬২)হাদিসের মানঃ সহীহ্।
এ হাদীসটি আমাদেরকে স্পষ্ট করে যে, মহান আল্লাহতালা যখন সৃষ্টির সূচনা শুরু করেন তখন তিনি প্রথম আসমান এবং জমিনের সকল সৃষ্টির ভাগ্য লাওহে মাহফুজে সুরক্ষিত পলকে লিখে রেখেছেন।
প্রতিটি মানুষের জন্মের পূর্বে ভাগ্যলিপি বুদ্ধ করা হয় তখন বোনের বয়স 120 দিন হয় যেমনটি আমরা নবী সাঃ এর হাদিস থেকে জানতে পারি
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)
হাদিস নম্বরঃ ৩২০৮
بَابُ ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيْعِ قال : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ : حَدَّثَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ : إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُوْنُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَكُوْنُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ، وَيُقَالُ لَهُ : اكْتُبْ عَمَلَهُ وَرِزْقَهُ وَأَجَلَهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيْدٌ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيْهِ الرُّوْحُ. فَإِنَّ الرَّجُلَ مِنْكُمْ لَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَنَّةِ إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ كِتَابُهُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ.
৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।
৩২০৮. যায়দ ইবনু ওয়াহব (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সত্যবাদী হিসেবে গৃহীত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান নিজ নিজ মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্যরূপে অবস্থান করে, অতঃপর তা জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়। ঐভাবে চল্লিশ দিন অবস্থান করে। অতঃপর তা গোশতপিন্ডে পরিণত হয়ে (আগের মত চল্লিশ দিন) থাকে। অতঃপর আল্লাহ একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। আর তাঁকে চারটি বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। তাঁকে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়, তার ‘আমল, তার রিয্ক, তার আয়ু এবং সে কি পাপী হবে না নেককার হবে। অতঃপর তার মধ্যে আত্মা ফুঁকে দেয়া হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তি ‘আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত পার্থক্য থাকে। এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। তখন সে জাহান্নামবাসীর মত আমল করে। আর একজন ‘আমাল করতে করতে এমন স্তরে পৌঁছে যে, তার এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত তফাৎ থাকে, এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। ফলে সে জান্নাতবাসীর মত ‘আমল করে। (৩৩৩২, ৬৫৯৪, ৭৪৫৪) (মুসলিম ৪৭/১ হাঃ ৩৬৪৩, আহমাদ ৩৬২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৮)হাদিসের মানঃ সহীহ্
ক: আল্লাহ্ যা সর্বশেষ লিপিবদ্ধ করেঃ
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)
হাদিস নম্বরঃ ৩১৯৪
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا مُغِيْرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَضَى اللهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِيْ كِتَابِهِ فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ إِنَّ رَحْمَتِيْ غَلَبَتْ غَضَبِي
৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)
৩১৯৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যখন সৃষ্টির কাজ শেষ করলেন, তখন তিনি তাঁর কিতাব লাওহে মাহ্ফুজে লিখেন, যা আরশের উপর তাঁর নিকট আছে। নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর প্রবল। (৭৪০৪, ৭৪১২, ৭৪৫৩, ৭৫৫৩, ৭৫৫৪) (মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫১, আহমাদ ৯৬০৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৪)
আমরা উপরোক্ত হাদীস গুলো থেকে স্পষ্ট হতে পারে যে মানুষ এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টি বহু বছর পূর্বেই তাদের তকদির লিঙ্গদেহ করে রাখা হয়েছে অর্থাৎ মানুষের জীবনে যা ঘটছে এবং যা ঘটবে সবাই মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার পরিকল্পিত এবং পরিকল্পনা বলি অন্তর্ভুক্ত বিষয় তা কখনও পরিবর্তন হয় না। এরিই নাম ক্বদর। আর ক্বদরের মধ্যে হায়াত অন্যতম।
চলবে.............
ইউটিউব থেকে এই বিষয়ে ভিডিও দেখতেচাইলে
লিংকে ভিজিট করুন!
No comments