১ম/// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ১ম পার্টঃ
১ম/// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ১ম পার্টঃ
১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সবার কাছে একটি পরিচিত দিন। এই দিনটাকে আমাদের সমাজে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে আমরা সমাজে, বিশেষ করে যুব সমাজে একে অপরকে প্রেম নিবেদন করে, যুবক-যুবতিরা আবাদভাবে মিলা-মিশা করে (বিবাহ বহির্ভূত)। দিন দিন এই দিনটাকে বিশেষ দিন হিসেবে গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাচ্ছে গুরতত্ব। কোন ভাবে আমরা এর গতি রোধ করতে পারছিনা। অথচ আমাদের যুবক-যুবতিদের চরিত্র নষ্ট করার জন্য অনেকাংশে এই দিনটা দায়ী। ফল শ্রুতিতে বাড়েই চলছে দর্ষণসহ নানা রকম অপরাধ। বাড়ছে পরিবার ভাংগনের হারও। তাই আমাদের এই দিন টার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অবশ্যক হয়ে পড়ে। আর বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য এইদিন টা পালনের ভয়া বহতা কি? কেন মুসলিমরা এই দিনটা পালন করবে না? কি কি ক্ষতি হয়? ইত্যাদি জানা একান্ত প্রয়োজন। তারি প্রতি দৃষ্টি রেখে আজ থেকে আমি ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি আলোচনা করার জন্য ইরাদা করছি। ইংশা আল্লাহ!
১৪ই ফেব্রুয়ারি বা বিশ্বভালবাসা দিবসঃ
ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্বভালবাসা দিবস (১৪ ই ফেব্রুয়ারি) এর উৎপত্তি সম্পর্কে বহু মত পাওয়া যাই। তার মাঝে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় মতটা হল-
১। প্রচলিত আছে, ২৭০ খৃষৃটাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনে 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন খৃষ্টান যাজক ছিলেন। তিনি ছিলেন, একন শিশু প্রেমিক, সদালাপি, সামাজিক, পর উপকারী এবং খৃষ্টান ধর্ম পচারক। রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লিডিয়াস, তাকে খৃষ্টীয় ধর্ম ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কারণ সে সময় রোমে খৃষ্টীয় ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। সম্রাট ছিলেন দেব-দেবীর পূঁজারী। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকার করলে সম্রাট তাকে বন্ধি করেন। সম্রাটের অদেশ অমান্য করায় সম্রাট তাকে মৃত্যু বন্ডের আদেশ দেন। আর সেইদিনটা ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারী। আর সেইদিন থেকে শুরু হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালনেরসূচনা।
২। আরো প্রচিত আছে যে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে যখন করা ঘরে পাঠানো হয়, তখন তার প্রতি প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীরা তার সাথে দেখা করার জন্য যেতো এবং তাকে সাথে আলোচনা করে তাকে মাতিয়ে রাখতো। সেই সময় কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনের সাথে দেখা করার জন্য যেতো। তারা দুজনে দীর্ঘ সময় আলোচনা করতো। এক সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেনটাইনে আদ্ধাতিক চিকিৎসায় মেয়েটি তার দৃষ্টি শক্তি পায়। এতে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। সম্রাট এক সময় জানতে পরেন দিন দিন ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্রাট ভিত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইনের মৃত্যুদন্ড কর্যকর করেন। আর তখন থেকে তার ভক্তরা তাকে স্বরণীয় রাখতে দিনটা পালন করতে থাকে।
৩। আরো একটি খৃষ্টীয় উপ কথা প্রচলিত আছে, রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন রক্ত পিপাসু। তার বিশাল রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল সৈন্যবাহিনী পোষণ করতেন। এক সময় তার বাহিনীতে সৈন্য সংকট দেখাদেয়। ক্লিডার্স দেখলেন, সেনাবাহিনীতে বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিতরা বেশী দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে। তাই ক্লিডার্স ঘোষণা করলেন যে, তার রাজ্যে যুবক- যুবতীরা বিবাহ করতে পারবেনা। রাজার এঘোষনায় যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। তারা বিয়ের কৌশল খুজতে থাকে। রাজার এ ঘোষণায় ক্ষুন্ন হয়ে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন যুবক পুরোহিত মানতে পারলেন না। তিনি প্রথমে নিজে বিয়ে করে রাজার আদেশ অমান্য করেন। এরপর তিনি যুবকদের বিবাহ করতে উৎসাহিতকরতে। শুধু তাই নয়, তিনি তার উপাসনালয়ে, একটি কক্ষে, অন্ধকারে মোমবাতির আলোতে যুবকদের বিবাহ পড়াতেন চুপিচুপি মন্ত্র পাঠ করতেন। অচিরেই এখবর রাজার কানে পৌছে। রাজা তার সৈন্যদের নির্দেশ দিলে সৈন্যরা সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেধে টেনে হেচড়ে রাজা দ্বিতীয় ক্লিডার্সের নিকট নিয়ে যায়। রাজার আদেশ অমান্য করার অপরাধে রাজা ক্লিডার্সকে ও তার অনুসরিদের মৃত্যুদন্ডদেন। আর সেই দিনটা ছি, ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২৭০ খৃষ্টাব্দ । তখন থেকে তার অনুসারীরা প্রতি বছর এই দিনটা পালন করে আসছে।
চলবে...….......।
ইংশা আল্লা! !!!
ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্বভালবাসা দিবস (১৪ ই ফেব্রুয়ারি) এর উৎপত্তি সম্পর্কে বহু মত পাওয়া যাই। তার মাঝে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় মতটা হল-
১। প্রচলিত আছে, ২৭০ খৃষৃটাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনে 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন খৃষ্টান যাজক ছিলেন। তিনি ছিলেন, একন শিশু প্রেমিক, সদালাপি, সামাজিক, পর উপকারী এবং খৃষ্টান ধর্ম পচারক। রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লিডিয়াস, তাকে খৃষ্টীয় ধর্ম ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কারণ সে সময় রোমে খৃষ্টীয় ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। সম্রাট ছিলেন দেব-দেবীর পূঁজারী। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকার করলে সম্রাট তাকে বন্ধি করেন। সম্রাটের অদেশ অমান্য করায় সম্রাট তাকে মৃত্যু বন্ডের আদেশ দেন। আর সেইদিনটা ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারী। আর সেইদিন থেকে শুরু হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালনেরসূচনা।
২। আরো প্রচিত আছে যে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে যখন করা ঘরে পাঠানো হয়, তখন তার প্রতি প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীরা তার সাথে দেখা করার জন্য যেতো এবং তাকে সাথে আলোচনা করে তাকে মাতিয়ে রাখতো। সেই সময় কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনের সাথে দেখা করার জন্য যেতো। তারা দুজনে দীর্ঘ সময় আলোচনা করতো। এক সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেনটাইনে আদ্ধাতিক চিকিৎসায় মেয়েটি তার দৃষ্টি শক্তি পায়। এতে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। সম্রাট এক সময় জানতে পরেন দিন দিন ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্রাট ভিত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইনের মৃত্যুদন্ড কর্যকর করেন। আর তখন থেকে তার ভক্তরা তাকে স্বরণীয় রাখতে দিনটা পালন করতে থাকে।
৩। আরো একটি খৃষ্টীয় উপ কথা প্রচলিত আছে, রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন রক্ত পিপাসু। তার বিশাল রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল সৈন্যবাহিনী পোষণ করতেন। এক সময় তার বাহিনীতে সৈন্য সংকট দেখাদেয়। ক্লিডার্স দেখলেন, সেনাবাহিনীতে বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিতরা বেশী দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে। তাই ক্লিডার্স ঘোষণা করলেন যে, তার রাজ্যে যুবক- যুবতীরা বিবাহ করতে পারবেনা। রাজার এঘোষনায় যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। তারা বিয়ের কৌশল খুজতে থাকে। রাজার এ ঘোষণায় ক্ষুন্ন হয়ে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন যুবক পুরোহিত মানতে পারলেন না। তিনি প্রথমে নিজে বিয়ে করে রাজার আদেশ অমান্য করেন। এরপর তিনি যুবকদের বিবাহ করতে উৎসাহিতকরতে। শুধু তাই নয়, তিনি তার উপাসনালয়ে, একটি কক্ষে, অন্ধকারে মোমবাতির আলোতে যুবকদের বিবাহ পড়াতেন চুপিচুপি মন্ত্র পাঠ করতেন। অচিরেই এখবর রাজার কানে পৌছে। রাজা তার সৈন্যদের নির্দেশ দিলে সৈন্যরা সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেধে টেনে হেচড়ে রাজা দ্বিতীয় ক্লিডার্সের নিকট নিয়ে যায়। রাজার আদেশ অমান্য করার অপরাধে রাজা ক্লিডার্সকে ও তার অনুসরিদের মৃত্যুদন্ডদেন। আর সেই দিনটা ছি, ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২৭০ খৃষ্টাব্দ । তখন থেকে তার অনুসারীরা প্রতি বছর এই দিনটা পালন করে আসছে।
চলবে...….......।
ইংশা আল্লা! !!!
২য় অংশে যান
No comments