Header Ads

Header ADS

২য়/// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ২য় পার্টঃ

২য়/// ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্বভালবাসা দিবস ) বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উৎপত্তির ইতিহাস। ২য় পার্টঃ

২য় পার্ট বা প্রথম পতার পরঃ
=====================

৪। অন্য আরেকটা মতে, সমগ্র ইউরোপ যখন খৃষ্টান ধর্মের জয় জয় কর অবস্থা তখনও ইউরোপে রোমানীয়দের সেই কুসংস্কার কিছু থেকে গিয়েছিল। কারণ তারা ততে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল।  তার মাঝে একটা হল, ক্লিডার্সের বিবাহ নিষিদ্ধ ব্যাবস্থা। তখন তাদের প্রথা ছিল- প্রতি বছর তার নির্দিষ্ট একদিন কোন মাঠে জমা হত এবং সৈনিক যাকে যার পছন্দ তাকে এক বছরের জন্য নিয়েযেত এবং পূর্ণ এক বছরের জন্য দাম্পত্য জীবন শুরু করতো। তখন তারা একে অপরের কাছে চিঠি লিখত ভ্যালেন্টাইন দেবতার নামে। তার মানি তারা তত দিনে ভ্যালেন্টাইনকে তাদের ভালবাসার দেবতা বানিয়ে পেলেছে।      এক বছর পর যদি তাদের একে অপরকে  ভাল লাগতো, তবে তারা পরবর্তী এক বছর থাকার জন্য তাদের সম্পর্ককে নবায়ন করে নিত।  আবার এক বছেরের  জীবন যাপন শুরু করত। এই ভাবে তাদের পরিবারিক জীবনের পরিবর্তে আবাদ যৌনাচার শুরু হয়।
কয়েকজন খৃষ্টান পাদ্রী চিন্তা করলেন এই অবস্থা হতে মনুষকে বের করে আনার পথ কি। তারা বহুচিন্তা করে দেখলেন, এতটা সহজ নয় মানুষকে এই রূপ আবাদ যৌনচারিতা হতে গিরানো। তাই তারা একটা কৌশল বাহির করেন, তা হল যথন কোন যুবক-যুবতী এক বছরের জন্য যুগলবন্দী হবে, তারা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দেবতার নামে শপথ নিয়ে বছর শুরু করবে। তারা একে জিসু খৃষ্টের নির্দেশ বলে চালিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে এই প্রথা খৃষ্টান ধর্মের নিদর্শন হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সমস্যা বাঁধে। কারণ একজন সুন্দরী নারীর জন্য অধিক প্রার্থি প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে যায়। এর সামধানের জন্য লাটারীর ব্যাবস্থা করা হয়। লটারীতে যে যার ভাগ্যে যে নারীর নাম উঠতো সে তাকে এক বছরের জন্য ভোগদখল করত। আবার এক বছর পর যদি তারা একত্রে থাকতে ভাল লাগতো তবে পরের বছর তা আবার নবয়ন করে নিতে হত। আর এভাবেই এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে ক্রমে খৃষ্টান ধর্মের ধর্মিয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।

৫। অন্য আরেকটি মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রানি জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোনো বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উত্সবে হাজারও তরুণের মেলায় র্যাফেল ড্র'র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উত্সবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত কাগজের স্লিপ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা স্লিপের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হতো এবং ভালোবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো ওই সম্পর্ক। ওই দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই 'ভ্যালেন্টাইন ডে'। এমন অনেক প্রচলিত ঘটনা, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস নিয়ে। একেকজন একেকভাবে এর যুক্তি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।

দেশে নিষিদ্ধঃ
এরপর দিন দেশে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। রোমে, ইতালি, ফ্রান্স, সহ বহু দেশে নিষিদ্ধ ছিল। 

ভালবাসা দিবস হিসাবে গ্রহণঃ
৪৯৬ খৃষ্টাব্দে পোপ গ্যালাসিয়াস সর্ব প্রথম দিন টিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। অনুমানি ৯০০ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর, দিনটি ব্রিটেনে পালনের সূচনা করে।  ১৭০০ শতকের শুরুতে দিনটি জন প্রিয়তা লাভ করে ইংল্যান্ডে। শুরুহয় হতে লেখা কার্ড ও বিভিন্ন উপহার বিনিময়। ১৯৪০ সালে পোল্যান্ডে সর্ব প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডের বানিজ্যিক ভাবে কার্ড বিক্রি শুরু করে। ভ্যালেন্টাইন্স ডের সবচাইতে পুরাতন কার্ডটি আজো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।

উইকেপিডিয়ার তথ্যমতেঃ

৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।
পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জাঅভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডেক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়াহাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত। [২] বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।[৩]
বাংলাদেশে সূচনাঃ
সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে দিনটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। শফিক রেহমান পড়ালেখা করেছেন প্রাশ্চাত্যেরদেশে। তিনি প্রাশ্চাত্যের ভাব ধরায় কঠিনভাবে অভ্যস্ত ছিলেন। এমন কি তুনি তার নাম পর্যন্ত এভিডেভিড করে করে পরিবর্তন করেন। তার পূর্বের নাম ছিল শফিক রহমান। তামতে রহমান মানে মৌলবাদের গন্ধ পাওয়া যাই। তাই তিনি এভিডেভিড করে রহমান কে রেহেমান করেন। এব্যাপাবে তার লেখালেখি, প্রতিবেদন যুবকদের বেশ আকৃষ্ট করে। যা আজ আমরা দেখতেই পাচ্ছি।

চলবে। ইংশা আল্লাহ।
৩য় খন্ডঃ  

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.