নাস্তিকদের ধর্মের নাম হুদাহুদি ধর্ম। নাস্তিকরা বলে নাস্তিকতার কোন ধর্মনা। আসলে একটা সঠিক নয়। তারা বলে সবি সৃষ্টিহয়েছে হুদাহুদি।
ইদানিং দেখা যায় নাস্তিকতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ দিনদিন ধার্মিকতা ত্যাগ করে নাস্তিকতা গ্রহণ করছে। ফলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আমরা একটু গভীর ভাবে দেখ দেখতে পাই নাস্তিকতা বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ হলো -অজ্ঞতা বা নিজের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানহীনতা, যা একটি মানসিক রোগ।
তাই আমরা এই এই গতি রোধ করতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই প্রথমেই, প্রথমে তাদের কাছে যেতে হবে এবং তাদের কথা শুনতে হবে, অঃবং তাদের সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে, তাদেরকে বুঝাতে হবে এবং তাদেরকে ধর্মে ফিরে আনার জন্য সমস্ত আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ ধর্মীয় সঠিক জ্ঞান তাদেরকে দিতে হবে।
আজকে আমরা যা আলোচনা করব তা মূলত নাস্তিকতার কারণ নয় বরং আমরা আজ আলোচনা করব নাস্তিকদেরও ধর্ম নিয়ে। আমরা দেখতে পাই যে নাস্তিকেরা প্রাই বলে থাকে, তাদের কোন ধর্ম নেই প্রকৃতপক্ষে নাস্তিকদের ও একটি ধর্ম আছে, কিন্তু সেটি আমাদের সকল কর্তৃক শিক্ষিত নয়। এই কথাটা বুঝতে হলে আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে ধর্মের সংজ্ঞা কি? যদি ধর্মের সংজ্ঞা জনা যায়, তবে এই নাস্তিকদের ধর্ম আছে এটা আমরা বুঝতে পারবো। ধর্ম শব্দটি বাংলা সংস্কৃত শব্দ ধৃত ধাতু থেকে উৎপত্তি। যার অর্থ ধারণ করা। সূতরাং মানুষ যা ধারণ করে তাই হলো ধর্ম। তাই আমরা বলতে পারি, মানুষ যা ধারণ করে তাই হচ্ছে ধর্্ম। পরিভাষায় আমরা বলতে পারি মানুষের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করার জন্য মানুষ যে রীতি- নীতি এবং আদর্শ ধারণ করে থাকে তাই হচ্ছে ধর্ম। হোক সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত অথবা ও প্রতিষ্ঠিত দাড়ি।
এখন আমরা নাস্তিকদের ধর্ম সম্পর্কে আমরা বলতে চাই, তারা সুনির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি এবং সুনির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বন করেছে। যা তারা সমাজের প্রতিষ্ঠা করতে চাই যা আমাদেরকে জানান দেয় এটা তাদের একটা ধর্ম।যদিও তারা তা অস্বীকার করে। আসুন এবার আমরা আলোচনা করা যাক নাস্তিকদের ধর্ম টা কি? নাস্তিকদের কে যখন প্রশ্ন করা হয় মহাবিশ্ব সম্পর্কে, তখন তাদের একদল বলে মহাবিশ্বের কখনো উৎপত্তি হয়নি। যুগ যুগ ধরে ছিল। এটি তাদের একটি দলের মত, কিন্তু অন্য দল বলে মহাবিশ্বের কোনো এক অজানা শক্তির বলে বিন্দুতে বিস্ফোরণ ঘটে আজকের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কোন এক অজানা কারণে বিন্দুতে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে যার ফলে আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয় তাও 3.5 বিলিয়ন বছর পূর্বে। কিন্তু তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় কেন এই বিস্ফোরণ টা ঘটেছিল? তখন তারা বলে এটা কোন কারণ নেই অর্থাৎ কোন কারন ছাড়াই মহাবিশ্বের সূচনা হয়। এটা পদার্থের সূচনার ও পূর্বে ।
স্টিফেন হকিং এর মতে "13.5 বিলিয়ন বছর পূর্বে কোন এক অজানা কারণে বিন্দুতে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। যা সম্প্রসারিত হতে হতে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়।"
কিন্তু তিনি বিন্দুতে যে সংঘর্ষ ঘটেছিল তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা তিনি করেননি, এবং সেখানে কোন পদার্থের উপস্থিত ছিল কিনা, এই বিষয়ে তিনি কোন ব্যাখ্যা দেননি। এখানে তিনি যে বিন্দুমাত্র ধারণা দিয়েছেন এ বিন্দুর সংঘর্ষ ব্যাপারটা তিনি কোন কিছু কোন ব্যাখ্যা করেননি। এখানে কিভাবে এ বিন্দুতে সংঘর্ষ ঘটে ছিল সেটাও ব্যাখ্যা তিনি করেননি। তিনি কেবল ব্যাখ্যা করেছেন বিস্ফোরণ পরবর্তী বিষয়ক পরবর্তী ওগুলো।
স্টিফেন হকিং আরো বলেন-" বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে মহাবিশ্ব ক্রমেই সম্প্রসারিত হতে শুরু করল। মহাবিশ্ব যেভাবে সম্প্রসারিত হতে শুরু করল তার থেকে যদি বেশি বা কম গতিতে সম্প্রসারিত হত তাহলে কয়েকশত বছরে ধ্বংস হয়ে যেত। কোন শক্তি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না।"
ম্যাক্স নাস্তিকেরা কিন্তু এটাকে সমর্থন করে কিন্তু তারা এর কারণ হিসেবে কোন সৃষ্টি কর্তা কে মানে না আমরা যখন বলি এবং সৃষ্টির মূল কারণ হচ্ছে মহান স্রষ্টা তিনি এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন এবং তিনি নিজের স্ব-ইচ্ছায় মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ করে আজকের এই মহাবিশ্বকে নিয়ে এসেছেন কিন্তু তখন তার আগে বিশ্বাস করে না করবে না এবং তারা একে ছুড়ে ফেলে দেয় তাদের মোট কথা হল এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে কোন কারণ ছাড়া অর্থাৎ এক কথা বলতে গেলে হুদাহুদি সৃষ্টি ।
আমরা যখন তাদেরকে বলে থাকি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা না থাকে তাহলে ভালো মন্দর স্বরূপ, এর কোন অর্থ থাকে না। ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের কোন প্রয়োজন নেই এবং ভালো কাজ করলে পুরস্কার এবং মন্দ কাজ করলে মানি শাস্তি বা তৃষ্কারের কোন অর্থ হয় না। অথবা ভালো কাজ করলে কোন সম্মান অথবা মন্দ কাজ করলে জন্য শাস্তির কোন অর্থ হয়না। তখন তারা বলবে এটা আমরা মানবিকতা। আমরা যখন বলি তাহলে আমরা ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের মাঝে প্রার্থক্য কেন করব? আর এর ধারণা আবেগ কোত্থেকে পেলাম। যখনই কোনো এর অর্থ হয়না। তখন তা মানার চুক্তি বাকি থাকে। তখন তারা বলবে যেটা আমাদের প্রসূত ধারণা। বিবেকের তারনাই করে থাকি। কিন্তু প্রশ্ন আসে যে আমাদের বিবেকের মাঝে ভালো এবং মন্দের ধারণা কোত্থেকে এলো? সে তো ধর্মের শিক্ষা দিল? তখন তারা বলবে হে! কোন এক সময় ধর্ম দিলেও তা কিন্তু আমাদের বিবেকের তারণাই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ধর্মের মতে মহতী কাজ মানুষের বিবেক থেকে প্রস্তুত হতে পারে না। যার কিছু আছে ইনদ্রিয় আবার কিছু আছে আপনার যৌক্তিক। অনেকাংশ আজ ও আধুনিক সভ্যতা এর বাস্তবতা খুঁজে পেতে পাইনি। কিন্তু অস্বীকার করার জো নেই তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ধর্মের প্রতি মানুষের বিবেক থেকে।
সহজ কথা হচ্ছে তাদের এই ধারণা ভুল। আমরা বলে থাকি মানুষের ধর্মের উৎপত্তি স্রষ্টা কর্তিক নির্দেশিত এরপরও তারা একটা যুক্তি খাড়া করাবেন। তা হলো কোনো কারণ ছাড়াই মানুষের বিবেক থেকে ধর্মের উৎপত্তি। তার এখাও বলতে গেলে "হুদাহুদি।"
তারপরে আমরা যখন তাদেরকে বলি হ্যাঁ মানুষের জন্ম মৃত্যু এর নির্দিষ্ট কোন কারণ আছে, প্রত্যেকটা সৃষ্টি নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে। তখন তারা অস্বীকার করে বলে না এর পৃথিবী সৃষ্টির কোন কারণ নেই এবং আমাদের জন্মের এবং মৃত্যুর কোন কারণ নেই। তার মানে এখানে কোন কারণ ছাড়া সৃষ্টি আর কারণ ছাড়া আমাদের জীবন আসা যাওয়া এক কথায় বলতে গেলে এখানে "হুদাহুদি।"
তারপর আমরা যখন আসি আপনি আপনার সামাজিক দায়িত্ব, পরিবারের উপরে দায়িত্ব এবং সন্তান লালন পালন করা, তোমার পিতা মাতার খেদমত করা না, থাকে কোনো জবাবদিহিতা না থাকে তাহলে এর অর্থ হয় না তখন তারা একই প্রশ্ন যেগুলো কোনো কারণ নাই বাট শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে আমরা করে থাকি তার মানে এখানেও "হুদাহুদি।"
এইভাবে আপনি তাদের সাথে যতগুলো যুক্তি দাঁড় করাবেন এবং যতগুলো পয়েন্ট আনবেন প্রত্যেকটা রেজাল্ট হচ্ছে কোন কারণ ছাড়া, কোনো কারণ নেই, তার মানি হচ্ছে সবই "হুদাহুদি"। তাই আমরা এদের নাস্তিকতার একটা ধর্ম খুঁজে পাই তারা হচ্ছে যে কোন কাজকে আপনার নিজ প্রয়োজন অপ্রয়োজন অকারণ "হুদাহুদি।" ইত্যাদি ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে, আমরা তাদের ধর্মের নাম দিয়েছে শুধু এটাই তাদের জন্য পারফেক্ট নাম তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মের প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতা করা এবং তারা মানুষকে বুঝাতে চাই মানুষ বানর থেকে উৎপত্তি বানর থেকে সৃষ্টি।
আপনি যখন তাদেরকে প্রশ্ন করবেন মানুষ সৃষ্টি কিভাবে হলো? তারা বলবে বিবর্তনের মাধ্যমে।হয়েছে যদি ধরে নেন আমি বিবর্তন তাকে যদিও কোন বিজ্ঞান শেখানো সমর্থিত নয় তবুও আপনি যদি ধরে নেন তবে একটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম থেকে আরেকটা প্রজনন মানে একটা থেকে আরেকটা জাত কিভাবে সৃষ্টি হল তাহলে তারা বলবে হুদাহুদি। কোন কারন ছাড়াই এটা হয়ে গেছে। কোন কারণ ছাড়া যেটাকে কখনো আপনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। কোন কারণ ছাড়া কোন জিনিস পৃথিবীতে হয়না সুতরাং তাদের নাম হচ্ছে আর তাদের সমস্ত কারণে একটা কারণ আছে তারা পৃথিবীতে সব কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা ছাড়া। সব কিছু করতে চাই যেমন বিবাহ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তারপরে ন্যায় নীতি হীন জীবন মানুষের মানুষকে পশুর সমাজের পড়াতে চাই তারা প্রসূন সমাজে যেমন সামাজিকতা নাই সেখা৷৷ যেআগনে এক পশুর মাংস খায় এখানেই তারা মানুষকে মানুষ মানুষের মাংস খাবে এমন একটা স্তর নামাতে চাই তাই এদের বর্বরোচিত মনোভাব কি আমরা কোনভাবেই সভ্য এবং শিক্ষিত সমাজ সাপোর্ট করতে পারিনা। তাই আমাদের উচিত হু ধর্ম থেকে দূরে থাকা এবং যথাসাধ্য তাদেরকে পরিত্যাগ করা। যেহেতু তাদের কাজ হল সত্যকে ত্যাগ করা সকল কারণকে হুদাহুদি বলে চালিয়ে দেওয়া। তাই এটি একটি হুদাহুদি ধর্ম।
ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ.........
তাই আমরা এই এই গতি রোধ করতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই প্রথমেই, প্রথমে তাদের কাছে যেতে হবে এবং তাদের কথা শুনতে হবে, অঃবং তাদের সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর দিতে হবে, তাদেরকে বুঝাতে হবে এবং তাদেরকে ধর্মে ফিরে আনার জন্য সমস্ত আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ ধর্মীয় সঠিক জ্ঞান তাদেরকে দিতে হবে।
আজকে আমরা যা আলোচনা করব তা মূলত নাস্তিকতার কারণ নয় বরং আমরা আজ আলোচনা করব নাস্তিকদেরও ধর্ম নিয়ে। আমরা দেখতে পাই যে নাস্তিকেরা প্রাই বলে থাকে, তাদের কোন ধর্ম নেই প্রকৃতপক্ষে নাস্তিকদের ও একটি ধর্ম আছে, কিন্তু সেটি আমাদের সকল কর্তৃক শিক্ষিত নয়। এই কথাটা বুঝতে হলে আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে ধর্মের সংজ্ঞা কি? যদি ধর্মের সংজ্ঞা জনা যায়, তবে এই নাস্তিকদের ধর্ম আছে এটা আমরা বুঝতে পারবো। ধর্ম শব্দটি বাংলা সংস্কৃত শব্দ ধৃত ধাতু থেকে উৎপত্তি। যার অর্থ ধারণ করা। সূতরাং মানুষ যা ধারণ করে তাই হলো ধর্ম। তাই আমরা বলতে পারি, মানুষ যা ধারণ করে তাই হচ্ছে ধর্্ম। পরিভাষায় আমরা বলতে পারি মানুষের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করার জন্য মানুষ যে রীতি- নীতি এবং আদর্শ ধারণ করে থাকে তাই হচ্ছে ধর্ম। হোক সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত অথবা ও প্রতিষ্ঠিত দাড়ি।
এখন আমরা নাস্তিকদের ধর্ম সম্পর্কে আমরা বলতে চাই, তারা সুনির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি এবং সুনির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বন করেছে। যা তারা সমাজের প্রতিষ্ঠা করতে চাই যা আমাদেরকে জানান দেয় এটা তাদের একটা ধর্ম।যদিও তারা তা অস্বীকার করে। আসুন এবার আমরা আলোচনা করা যাক নাস্তিকদের ধর্ম টা কি? নাস্তিকদের কে যখন প্রশ্ন করা হয় মহাবিশ্ব সম্পর্কে, তখন তাদের একদল বলে মহাবিশ্বের কখনো উৎপত্তি হয়নি। যুগ যুগ ধরে ছিল। এটি তাদের একটি দলের মত, কিন্তু অন্য দল বলে মহাবিশ্বের কোনো এক অজানা শক্তির বলে বিন্দুতে বিস্ফোরণ ঘটে আজকের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কোন এক অজানা কারণে বিন্দুতে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে যার ফলে আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয় তাও 3.5 বিলিয়ন বছর পূর্বে। কিন্তু তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় কেন এই বিস্ফোরণ টা ঘটেছিল? তখন তারা বলে এটা কোন কারণ নেই অর্থাৎ কোন কারন ছাড়াই মহাবিশ্বের সূচনা হয়। এটা পদার্থের সূচনার ও পূর্বে ।
স্টিফেন হকিং এর মতে "13.5 বিলিয়ন বছর পূর্বে কোন এক অজানা কারণে বিন্দুতে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। যা সম্প্রসারিত হতে হতে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়।"
কিন্তু তিনি বিন্দুতে যে সংঘর্ষ ঘটেছিল তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা তিনি করেননি, এবং সেখানে কোন পদার্থের উপস্থিত ছিল কিনা, এই বিষয়ে তিনি কোন ব্যাখ্যা দেননি। এখানে তিনি যে বিন্দুমাত্র ধারণা দিয়েছেন এ বিন্দুর সংঘর্ষ ব্যাপারটা তিনি কোন কিছু কোন ব্যাখ্যা করেননি। এখানে কিভাবে এ বিন্দুতে সংঘর্ষ ঘটে ছিল সেটাও ব্যাখ্যা তিনি করেননি। তিনি কেবল ব্যাখ্যা করেছেন বিস্ফোরণ পরবর্তী বিষয়ক পরবর্তী ওগুলো।
স্টিফেন হকিং আরো বলেন-" বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়ে মহাবিশ্ব ক্রমেই সম্প্রসারিত হতে শুরু করল। মহাবিশ্ব যেভাবে সম্প্রসারিত হতে শুরু করল তার থেকে যদি বেশি বা কম গতিতে সম্প্রসারিত হত তাহলে কয়েকশত বছরে ধ্বংস হয়ে যেত। কোন শক্তি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না।"
ম্যাক্স নাস্তিকেরা কিন্তু এটাকে সমর্থন করে কিন্তু তারা এর কারণ হিসেবে কোন সৃষ্টি কর্তা কে মানে না আমরা যখন বলি এবং সৃষ্টির মূল কারণ হচ্ছে মহান স্রষ্টা তিনি এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন এবং তিনি নিজের স্ব-ইচ্ছায় মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ করে আজকের এই মহাবিশ্বকে নিয়ে এসেছেন কিন্তু তখন তার আগে বিশ্বাস করে না করবে না এবং তারা একে ছুড়ে ফেলে দেয় তাদের মোট কথা হল এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে কোন কারণ ছাড়া অর্থাৎ এক কথা বলতে গেলে হুদাহুদি সৃষ্টি ।
আমরা যখন তাদেরকে বলে থাকি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা না থাকে তাহলে ভালো মন্দর স্বরূপ, এর কোন অর্থ থাকে না। ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের কোন প্রয়োজন নেই এবং ভালো কাজ করলে পুরস্কার এবং মন্দ কাজ করলে মানি শাস্তি বা তৃষ্কারের কোন অর্থ হয় না। অথবা ভালো কাজ করলে কোন সম্মান অথবা মন্দ কাজ করলে জন্য শাস্তির কোন অর্থ হয়না। তখন তারা বলবে এটা আমরা মানবিকতা। আমরা যখন বলি তাহলে আমরা ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের মাঝে প্রার্থক্য কেন করব? আর এর ধারণা আবেগ কোত্থেকে পেলাম। যখনই কোনো এর অর্থ হয়না। তখন তা মানার চুক্তি বাকি থাকে। তখন তারা বলবে যেটা আমাদের প্রসূত ধারণা। বিবেকের তারনাই করে থাকি। কিন্তু প্রশ্ন আসে যে আমাদের বিবেকের মাঝে ভালো এবং মন্দের ধারণা কোত্থেকে এলো? সে তো ধর্মের শিক্ষা দিল? তখন তারা বলবে হে! কোন এক সময় ধর্ম দিলেও তা কিন্তু আমাদের বিবেকের তারণাই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ধর্মের মতে মহতী কাজ মানুষের বিবেক থেকে প্রস্তুত হতে পারে না। যার কিছু আছে ইনদ্রিয় আবার কিছু আছে আপনার যৌক্তিক। অনেকাংশ আজ ও আধুনিক সভ্যতা এর বাস্তবতা খুঁজে পেতে পাইনি। কিন্তু অস্বীকার করার জো নেই তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ধর্মের প্রতি মানুষের বিবেক থেকে।
সহজ কথা হচ্ছে তাদের এই ধারণা ভুল। আমরা বলে থাকি মানুষের ধর্মের উৎপত্তি স্রষ্টা কর্তিক নির্দেশিত এরপরও তারা একটা যুক্তি খাড়া করাবেন। তা হলো কোনো কারণ ছাড়াই মানুষের বিবেক থেকে ধর্মের উৎপত্তি। তার এখাও বলতে গেলে "হুদাহুদি।"
তারপরে আমরা যখন তাদেরকে বলি হ্যাঁ মানুষের জন্ম মৃত্যু এর নির্দিষ্ট কোন কারণ আছে, প্রত্যেকটা সৃষ্টি নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে। তখন তারা অস্বীকার করে বলে না এর পৃথিবী সৃষ্টির কোন কারণ নেই এবং আমাদের জন্মের এবং মৃত্যুর কোন কারণ নেই। তার মানে এখানে কোন কারণ ছাড়া সৃষ্টি আর কারণ ছাড়া আমাদের জীবন আসা যাওয়া এক কথায় বলতে গেলে এখানে "হুদাহুদি।"
তারপর আমরা যখন আসি আপনি আপনার সামাজিক দায়িত্ব, পরিবারের উপরে দায়িত্ব এবং সন্তান লালন পালন করা, তোমার পিতা মাতার খেদমত করা না, থাকে কোনো জবাবদিহিতা না থাকে তাহলে এর অর্থ হয় না তখন তারা একই প্রশ্ন যেগুলো কোনো কারণ নাই বাট শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে আমরা করে থাকি তার মানে এখানেও "হুদাহুদি।"
এইভাবে আপনি তাদের সাথে যতগুলো যুক্তি দাঁড় করাবেন এবং যতগুলো পয়েন্ট আনবেন প্রত্যেকটা রেজাল্ট হচ্ছে কোন কারণ ছাড়া, কোনো কারণ নেই, তার মানি হচ্ছে সবই "হুদাহুদি"। তাই আমরা এদের নাস্তিকতার একটা ধর্ম খুঁজে পাই তারা হচ্ছে যে কোন কাজকে আপনার নিজ প্রয়োজন অপ্রয়োজন অকারণ "হুদাহুদি।" ইত্যাদি ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে, আমরা তাদের ধর্মের নাম দিয়েছে শুধু এটাই তাদের জন্য পারফেক্ট নাম তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মের প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতা করা এবং তারা মানুষকে বুঝাতে চাই মানুষ বানর থেকে উৎপত্তি বানর থেকে সৃষ্টি।
আপনি যখন তাদেরকে প্রশ্ন করবেন মানুষ সৃষ্টি কিভাবে হলো? তারা বলবে বিবর্তনের মাধ্যমে।হয়েছে যদি ধরে নেন আমি বিবর্তন তাকে যদিও কোন বিজ্ঞান শেখানো সমর্থিত নয় তবুও আপনি যদি ধরে নেন তবে একটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম থেকে আরেকটা প্রজনন মানে একটা থেকে আরেকটা জাত কিভাবে সৃষ্টি হল তাহলে তারা বলবে হুদাহুদি। কোন কারন ছাড়াই এটা হয়ে গেছে। কোন কারণ ছাড়া যেটাকে কখনো আপনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। কোন কারণ ছাড়া কোন জিনিস পৃথিবীতে হয়না সুতরাং তাদের নাম হচ্ছে আর তাদের সমস্ত কারণে একটা কারণ আছে তারা পৃথিবীতে সব কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা ছাড়া। সব কিছু করতে চাই যেমন বিবাহ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তারপরে ন্যায় নীতি হীন জীবন মানুষের মানুষকে পশুর সমাজের পড়াতে চাই তারা প্রসূন সমাজে যেমন সামাজিকতা নাই সেখা৷৷ যেআগনে এক পশুর মাংস খায় এখানেই তারা মানুষকে মানুষ মানুষের মাংস খাবে এমন একটা স্তর নামাতে চাই তাই এদের বর্বরোচিত মনোভাব কি আমরা কোনভাবেই সভ্য এবং শিক্ষিত সমাজ সাপোর্ট করতে পারিনা। তাই আমাদের উচিত হু ধর্ম থেকে দূরে থাকা এবং যথাসাধ্য তাদেরকে পরিত্যাগ করা। যেহেতু তাদের কাজ হল সত্যকে ত্যাগ করা সকল কারণকে হুদাহুদি বলে চালিয়ে দেওয়া। তাই এটি একটি হুদাহুদি ধর্ম।
ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ.........
No comments