Header Ads

Header ADS

হোসেন কোরআনীর মুখোশ উম্মোচন।/// 5ম পার্ট///অনুমান এর উপর ভিত্তি করে কথা বলাঃ

হোসেন কোরআনীর মুখোশ উম্মোচন।/// 5ম পর্ব///অতি সাম্প্রতিক একজন ধর্ম প্রচারকারী, যিনি নিজেকে সবচাইতে বেশি জানেন বলে দাবি করেন। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি একশত পঞ্চাশ বছর বাঁচবেন তার এই দাবি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?


গত কয়েকদিন ধরে আমরা হোসেন কোরআনীর মুখোশ উম্মোচন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছিলাম। গত কয়েকটি পর্বে আলোচনা করেছিলাম মানুষ কি শারীরিক কন্ডিশনে উপর নির্ভর করে বাঁচে? আত্মা বা রুহ কি? ইসলামে আত্মা এবং রোগ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে? মানুষের হায়াত কি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত? তাকদীর অস্বীকার কারীর পরিণাম। 150 বছর বাসবো দাবি করলে কি শিরিক হয়ে যাবে? কোন গুনাহ হবে কি? এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা আলোচনা করব, অনুমান এর উপর ভিত্তি করে কথা বলা শরীয়ত সম্মত কিনা?




08: অনুমান এর উপর ভিত্তি করে কথা বলাঃ



অনুমান করে কথা বলা একটি পাপ কুরআন এবং সুন্নাহর একটি সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দেয়। অধিকাংশ লোক যে অনুমানের কথা বলে এ কথা সত্যায়ন আল্লাহতালা করার পর বলেছেন, অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করলে মানুষ সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়। কারণ তারা অনুমানের উপর ভিত্তি করে কথা বলে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তারা বলছে,


وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِى ٱلْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ 


তুমি যদি দুনিয়াবাসী অধিকাংশ লোকের কথামত চল তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যূত করে ফেলবে, তারাতো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে, আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে। ( সূরা আন'আম 6:116 )




অনুমানের কথা বলা থেকে বিরত থাকার জন্য, ইসলামে বহু ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কারন মানুষ যদি অনুমান দ্বারা পরিচিত হয়, তাহলে সে, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হবে। তাইতো আল্লাহতালা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছে, যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচিত হয়ো না, কারণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের প্রত্যেক বস্তুর থেকে হিসাব নেওয়া হবে। যেমনটি কোরআন কারীমে ইরশাদ করেছেন।



وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِۦ عِلْمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمْعَ وَٱلْبَصَرَ وَٱلْفُؤَادَ كُلُّ أُو۟لَٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْـُٔولًا 


যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়োনা। কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় - ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। ( সূরা আল ইসরা 17:36 )




অনুমান করে কথা বলা যে পাপ কাজ তা মহান আল্লাহতালা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছেন।




يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱجْتَنِبُوا۟ كَثِيرًا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ ٱلظَّنِّ إِثْمٌۖ وَلَا تَجَسَّسُوا۟ وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًاۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ 


হে মু’মিনগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করনা এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করনা। তোমাদের মধ্যে কি কেহ তার মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করতে চায়? বস্তুতঃ তোমরাতো এটাকে ঘৃণাই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তাওবাহ গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। ( সূরা আল হুজরাত 49:12 ) 




এখানে মহান আল্লাহতালা মানুষের ব্যাপারে অনুমান করা থেকে নিষেধ করছেন। যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু আল্লাহর ব্যাপারে অথবা আকিদার ব্যাপারে অনুমান করে কথা বলাটা কোন কোন পর্যায়ে, অনুমান করে কথা বলা শিরকি পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তাই মহান আল্লাহতালা যে বিষয়ে জ্ঞান নাই সে বিষয়ে অনুমান করে কথা বলা থেকে নিষেধ করে এরশাদ করেন।




وَمَا لَهُم بِهِۦ مِنْ عِلْمٍۖ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّۖ وَإِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًٔا 


অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই, তারা শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; (সূরা নাজম 53:28 )



উপরের সমস্ত দলিল আমাদেরকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত করেছে, অনুমান করে কথা বলার সম্পূর্ণ হারাম। কেননা কখনো কখনো এই অনুমান করে কথা বলা শিরিকির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যেমনটি অনুমান করে কেউ যদি বলে আমি আনুমানিক 150 বছর বাঁচবো কারণ আমি শারীরিকভাবে শক্তিশালী অথবা পরিকল্পনা মাফিক জীবন যাপন করি বিধায় আমি 150 বছর হায়াত পাবো অথবা বাঁচতে পারব। যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তাআলার সাথে নিজেকে গায়েব জানার অংশীদার স্থাপন করা। যা কুফরীর পর্যায়ে পড়ে। দ্বিতীয়তঃ হলো তাকদীর তথা মানুষের ভাগ্য লিপি কে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা। যাও কুফরীর সাথে শামিল। তাকদীর কে অস্বীকার করা এবং আল্লাহর সাথে মাফাতিহুল গায়েব জানার অংশীদার হওয়া দাবির কারণে কুফুরি সাব্যস্ত হয়। সুতরাং দুই প্রকার  কুফরীর কারণে এমন দাবিকারী কাপের সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করে এ জাতীয় কুফরী থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেন। 


আমিন!!!!


💐💐💐💐




سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ».



১৯৬- “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি।











ইউটিউব থেকে এই বিষয়ে ভিডিও দেখতেচাইলে লিংকে ভিজিট করুন!



















No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.